১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোংলা বন্দরে ৭নং বিপদ সংকেত : পণ্য ওঠানামা বন্ধ

###   বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভারি বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বয়। ফলে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই, খালাস ও পরিবহন বন্ধ রয়েছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে মোংলা বন্দরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘অ্যালার্ট-৩’ জারির পর পণ্য বোঝাই ও খালাস (লোড-আনলোড) বন্ধ করা হয়।  মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপসচিব (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) মো. মাকরুজ্জামান বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর বন্দরে অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সকাল থেকে পণ্য লোড-আনলোড বন্ধ ছিল। বন্দর জটিতে থাকা সব জাহাজ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বহির্নোঙরে। ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি ও ঘূর্ণিঝড়–পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত অনুসারে চার ধরনের সতর্কতা জারি করে বন্দর। এদিকে ঝড়ের বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জরুরি সভা করেছে। সভায় বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা।  তিনি বলেন, সিত্রাংয়ের জন্য প্রস্তুতি হিসেবে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও সংশ্লিষ্ট বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। বন্দর চ্যানেলকে নিরাপদে রাখার জন্য দেশি কার্গো ও লাইটারেজগুলোকে চ্যানেলের বাইরে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া চ্যানেলে অবস্থানরত ১৩টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজকে নিরাপদ ও সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে।  এছাড়া বন্দর জেটিতে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজগুলো নিরাপদ অবস্থানে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করলে বন্দর প্রথম পর্যায়ের সতর্কতা বা ‘অ্যালার্ট-১’ জারি করে। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৪ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর ‘অ্যালার্ট-২’ জারি করে। বিপদ সংকেত ৫, ৬ ও ৭ নম্বরের জন্য বন্দরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করা হয়। মহাবিপদ সংকেত ৮, ৯ ও ১০ হলে বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘অ্যালার্ট-৪’ জারি করা হয়। সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি হলে বন্দর–জেটিতে অবস্থানরত জাহাজগুলোকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এদিকে প্রতিনিয়ত ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি বৃদ্ধি করে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এদিকে নিরাপত্তা নিশ্চিতে মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলার রায়েন্দা রুটে ফেরি বন্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এ দু’টি ফেরি ঘাটে চলাচল করা ইঞ্জিন চালিত নৌকায় যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি প্রয়োজনে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে ফেরি চালানো যাবে।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা দু’গ্রুপের হাতাহাতিতে ভন্ডুল

মোংলা বন্দরে ৭নং বিপদ সংকেত : পণ্য ওঠানামা বন্ধ

প্রকাশিত সময় : ০১:০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২

###   বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভারি বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বয়। ফলে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই, খালাস ও পরিবহন বন্ধ রয়েছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে মোংলা বন্দরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘অ্যালার্ট-৩’ জারির পর পণ্য বোঝাই ও খালাস (লোড-আনলোড) বন্ধ করা হয়।  মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপসচিব (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) মো. মাকরুজ্জামান বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর বন্দরে অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সকাল থেকে পণ্য লোড-আনলোড বন্ধ ছিল। বন্দর জটিতে থাকা সব জাহাজ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বহির্নোঙরে। ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি ও ঘূর্ণিঝড়–পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত অনুসারে চার ধরনের সতর্কতা জারি করে বন্দর। এদিকে ঝড়ের বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জরুরি সভা করেছে। সভায় বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা।  তিনি বলেন, সিত্রাংয়ের জন্য প্রস্তুতি হিসেবে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও সংশ্লিষ্ট বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। বন্দর চ্যানেলকে নিরাপদে রাখার জন্য দেশি কার্গো ও লাইটারেজগুলোকে চ্যানেলের বাইরে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া চ্যানেলে অবস্থানরত ১৩টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজকে নিরাপদ ও সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে।  এছাড়া বন্দর জেটিতে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজগুলো নিরাপদ অবস্থানে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করলে বন্দর প্রথম পর্যায়ের সতর্কতা বা ‘অ্যালার্ট-১’ জারি করে। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৪ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর ‘অ্যালার্ট-২’ জারি করে। বিপদ সংকেত ৫, ৬ ও ৭ নম্বরের জন্য বন্দরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করা হয়। মহাবিপদ সংকেত ৮, ৯ ও ১০ হলে বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘অ্যালার্ট-৪’ জারি করা হয়। সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি হলে বন্দর–জেটিতে অবস্থানরত জাহাজগুলোকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এদিকে প্রতিনিয়ত ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি বৃদ্ধি করে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এদিকে নিরাপত্তা নিশ্চিতে মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলার রায়েন্দা রুটে ফেরি বন্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এ দু’টি ফেরি ঘাটে চলাচল করা ইঞ্জিন চালিত নৌকায় যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি প্রয়োজনে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে ফেরি চালানো যাবে।