০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৬শ’ হেক্টর বোরো ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা

মোরেলগঞ্জে খালে অবৈধ বাঁধের ফলে ৬শ’ হেক্টর বোরো ফসলের ক্ষতির মুখে

###    বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে প্রবাহমান তালতলা খালে বাঁধ দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল।চলতি বোরো মৌসুমে পানির অভাবে শত শত কৃষক আবাদ করতে পারছে না। এতে ৬শ’ হেক্টর বোরো ধানের ক্ষতির সম্ভাবনা।সোমবার (০৬ জানুয়ারি) সকালে নদীর বাঁধটি অপসারনের দাবিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। এসময় সংশ্লিষ্ট র্কতিপক্ষের প্রতি জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তারা।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ছোট কুমারখালী গ্রামজুড়ে চিংড়াখালী বলেশ্বর নদীর প্রবাহমান তালতলা খালের প্রশাখা কুমারখালী খাল। এ খালটির একদিকে পলিপড়ে ভরাট হয়ে গেছে। অন্যদিকে গত দুই সপ্তাহের পূর্বে ওই গ্রামের মিন্টু হাওলাদার ব্যক্তিসার্থে খালে বাঁধ দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ করে রেখেছেন। যে কারনে কুমারখালী, বৌলপুর, কিছমত বৌলপুর এ ৩টি মৌজায় বোরো ধানের প্রায় ১ হাজার বিঘা ফসলি জমি পানির অভাবে চলতি বোরো মৌসুমের আবাদ অনিশ্চয়তার মধ্যে ৮ শতাধিক কৃষক । বোরো ধানের বীজতলা মরে যাওয়ার সম্ভাবনায় আতংকে রয়েছে তারা। পানির অভাবে বীজতলার বোরো বীজ শুকিয়ে যাচ্ছে । হাজার হাজার টাকা ব্যয় করে শংশয়ে রয়েছেন কৃষক।

স্থানীয় জমির মালিক আব্দুর রহিম ফকির বলেন,বছরে শুধুমাত্র বোরো ধানের ফসল ফলায় তারা। যা থেকে চাহিদা মিটিয়ে ৫০ থেকে ৫৫ মন ধান বাজারে ধান বিক্রি করে পুরো বছর পরিবারের সংসার চলে তাদের। কৃষক নোমান খন্দকার বলেন, বিঘাপ্রতি জমিতে খরচ হয়েছে ২০/২৪ হাজার টাকা। যার অনেকটাই ধার বা সমিতি থেকে লোনে যোগার করা।পানির কারনে এবার ফসল ফলাতে না পারলে আমরা মাঠে মারা যাব।কৃষকস শহিদ ফকির’সহ একাধিক কৃষকরা বলেন,  যখনই মাঠে পানির দরকার তথন বাঁধের কারনে প্রথম গোনে মাঠে পানি তুলতে পারিনি। এ গোনেও যদি পানি তুলতে না পারি তাহলে আর ফসল হবে না। রেকর্ডীয় খাল কিভাবে বাঁধ দিয়ে আমাদের ক্ষতি করছে। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবহিত করেও কোন সমাধান হয়নি বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।এ বিষয়ে বাঁধ প্রদানকারী মিন্টু হাওলাদার বলেন, ৪ বছর ধরে আমার জমি থেকে পানি তুলেছে। রেকর্ডীয় খালটি উত্তর পাসে। এ বছর আর পানি তুলতে দিবো না।

উপজেলা কৃষি অফিসার আকাশ বৈরাগী জানান, বোরো মৌসুমে কৃষক মাঠে পানি দিতে না পারলে বীজতলা সম্পূন্ন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে কৃষকরা ঘরে ফসল তুলতে পারবে না। বাঁধ দেওয়ার বিষয়টি এ কর্মকর্তার জানা নেই।উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাকে সরেজমিনে পাঠানো হবে। বৃদ্ধমান সমস্যার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik adhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

৬শ’ হেক্টর বোরো ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা

মোরেলগঞ্জে খালে অবৈধ বাঁধের ফলে ৬শ’ হেক্টর বোরো ফসলের ক্ষতির মুখে

প্রকাশিত সময় : ০৬:২৪:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

###    বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে প্রবাহমান তালতলা খালে বাঁধ দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল।চলতি বোরো মৌসুমে পানির অভাবে শত শত কৃষক আবাদ করতে পারছে না। এতে ৬শ’ হেক্টর বোরো ধানের ক্ষতির সম্ভাবনা।সোমবার (০৬ জানুয়ারি) সকালে নদীর বাঁধটি অপসারনের দাবিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। এসময় সংশ্লিষ্ট র্কতিপক্ষের প্রতি জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তারা।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ছোট কুমারখালী গ্রামজুড়ে চিংড়াখালী বলেশ্বর নদীর প্রবাহমান তালতলা খালের প্রশাখা কুমারখালী খাল। এ খালটির একদিকে পলিপড়ে ভরাট হয়ে গেছে। অন্যদিকে গত দুই সপ্তাহের পূর্বে ওই গ্রামের মিন্টু হাওলাদার ব্যক্তিসার্থে খালে বাঁধ দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ করে রেখেছেন। যে কারনে কুমারখালী, বৌলপুর, কিছমত বৌলপুর এ ৩টি মৌজায় বোরো ধানের প্রায় ১ হাজার বিঘা ফসলি জমি পানির অভাবে চলতি বোরো মৌসুমের আবাদ অনিশ্চয়তার মধ্যে ৮ শতাধিক কৃষক । বোরো ধানের বীজতলা মরে যাওয়ার সম্ভাবনায় আতংকে রয়েছে তারা। পানির অভাবে বীজতলার বোরো বীজ শুকিয়ে যাচ্ছে । হাজার হাজার টাকা ব্যয় করে শংশয়ে রয়েছেন কৃষক।

স্থানীয় জমির মালিক আব্দুর রহিম ফকির বলেন,বছরে শুধুমাত্র বোরো ধানের ফসল ফলায় তারা। যা থেকে চাহিদা মিটিয়ে ৫০ থেকে ৫৫ মন ধান বাজারে ধান বিক্রি করে পুরো বছর পরিবারের সংসার চলে তাদের। কৃষক নোমান খন্দকার বলেন, বিঘাপ্রতি জমিতে খরচ হয়েছে ২০/২৪ হাজার টাকা। যার অনেকটাই ধার বা সমিতি থেকে লোনে যোগার করা।পানির কারনে এবার ফসল ফলাতে না পারলে আমরা মাঠে মারা যাব।কৃষকস শহিদ ফকির’সহ একাধিক কৃষকরা বলেন,  যখনই মাঠে পানির দরকার তথন বাঁধের কারনে প্রথম গোনে মাঠে পানি তুলতে পারিনি। এ গোনেও যদি পানি তুলতে না পারি তাহলে আর ফসল হবে না। রেকর্ডীয় খাল কিভাবে বাঁধ দিয়ে আমাদের ক্ষতি করছে। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবহিত করেও কোন সমাধান হয়নি বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।এ বিষয়ে বাঁধ প্রদানকারী মিন্টু হাওলাদার বলেন, ৪ বছর ধরে আমার জমি থেকে পানি তুলেছে। রেকর্ডীয় খালটি উত্তর পাসে। এ বছর আর পানি তুলতে দিবো না।

উপজেলা কৃষি অফিসার আকাশ বৈরাগী জানান, বোরো মৌসুমে কৃষক মাঠে পানি দিতে না পারলে বীজতলা সম্পূন্ন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে কৃষকরা ঘরে ফসল তুলতে পারবে না। বাঁধ দেওয়ার বিষয়টি এ কর্মকর্তার জানা নেই।উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাকে সরেজমিনে পাঠানো হবে। বৃদ্ধমান সমস্যার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।##