০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোল্লাহাটে হাফিজুর রহমান হাফিজকে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ

####

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমান হাফিজকে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক পদ থেকে অগঠনতান্ত্রিকভাবে অব্যাহতি দেয়ার প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ই অক্টোবর) বিকাল ৪ ঘটিকায় খলিলুর রহমান ডিগ্রী কলেজ প্রাঙ্গণে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে হাফিজুর রহমানের অব্যাহতি প্রত্যাহারের দাবিতে মোল্লাহাট উপজেলা বিএনপি ও সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের একটি বিক্ষোভ মিছিল খলিলুর রহমান ডিগ্রী কলেজ থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উপ‌জেলা ও বিশ্ব‌রোড হয়ে শুরুর স্থান গি‌য়ে শেষ হয়।
সমাবেশে বাগেরহাট জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও মোল্লাহাট উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শিকদার হারুন আল রশীদ বলেন, হাফিজুর রহমান জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন, যুবদলের মোল্লাহাট থানার আহ্বায়ক ছিলেন,্জাতীয়তাবাদী যুবদল বাগেরহাট জেলা শাখার সহ সভাপতি ছিলেন, তিনি মোল্লাহাট উপজেলার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, মোল্লাহাট উপজেলায় যত মিথ্যা মামলা হয়েছে তিনি সকল মিথ্যা মামলার আসামি হয়েছেন, এই দলের জন্য তিনি বার বার কারাবরন করেছেন। তার বিরুদ্ধে কল্পকাহিনী তৈরি করে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অনতিবিলম্বে হাফিজুর রহমান হাফিজের অব্যাহতি তুলে নেওয়ার দাবি জানান তিনি। বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, ৩৯ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কেউ কোনদিন অভিযোগ করতে পারে নাই। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একটা গঠনতন্ত্র আছে। এই গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে আপনার আমার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোন অধিকার নেই। আমরা ব্যাক্তি স্বার্থে রাজনীতি করি না। কেন্দুয়া বিলে আমার ১৫০ বিঘা জমি যা দলীয় নেতা ও কর্মীদের ভাগ করে দিয়েছি। যেখান থেকে একটি টাকাও আমি গ্রহণ করি না। আজকে এই সময়ে আমার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হয়েছে তা খুব ন্যাক্কারজনক। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অথবা জেলা কমিটির অগোচরে বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক কিভাবে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এটা আমার বোধগম্য নয়। দলের কাছে আমার একটাই চাওয়া, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে অথবা কেউ যদি কোন অভিযোগ করতে পারে বা কোন সত্যতা পাওয়া যায় তবে দল আমার বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্ত নেবে আমি তা মাথা পেতে নেব। আর উনি (জেলা বিএনপির আহবায়ক) যেভাবে আমাকে অব্যাহতি দিয়েছেন তা বৈধ নয়। এটা সাংবিধানিক ভাবে গ্রহন যোগ্য নয়। অতএব আমি এতদিন যেভাবে আপনাদের সাথে ছিলাম, আজও সেভাবে আছি এবং যতদিন বাঁচবো আপনাদের ছেড়ে কোথাও যাব না। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

মোংলায় জোরপূর্বক ক্রয়কৃত জমি দখলের অভিযোগ

মোল্লাহাটে হাফিজুর রহমান হাফিজকে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ

প্রকাশিত সময় : ১০:০১:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

####

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমান হাফিজকে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক পদ থেকে অগঠনতান্ত্রিকভাবে অব্যাহতি দেয়ার প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ই অক্টোবর) বিকাল ৪ ঘটিকায় খলিলুর রহমান ডিগ্রী কলেজ প্রাঙ্গণে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে হাফিজুর রহমানের অব্যাহতি প্রত্যাহারের দাবিতে মোল্লাহাট উপজেলা বিএনপি ও সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের একটি বিক্ষোভ মিছিল খলিলুর রহমান ডিগ্রী কলেজ থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উপ‌জেলা ও বিশ্ব‌রোড হয়ে শুরুর স্থান গি‌য়ে শেষ হয়।
সমাবেশে বাগেরহাট জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও মোল্লাহাট উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শিকদার হারুন আল রশীদ বলেন, হাফিজুর রহমান জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন, যুবদলের মোল্লাহাট থানার আহ্বায়ক ছিলেন,্জাতীয়তাবাদী যুবদল বাগেরহাট জেলা শাখার সহ সভাপতি ছিলেন, তিনি মোল্লাহাট উপজেলার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, মোল্লাহাট উপজেলায় যত মিথ্যা মামলা হয়েছে তিনি সকল মিথ্যা মামলার আসামি হয়েছেন, এই দলের জন্য তিনি বার বার কারাবরন করেছেন। তার বিরুদ্ধে কল্পকাহিনী তৈরি করে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অনতিবিলম্বে হাফিজুর রহমান হাফিজের অব্যাহতি তুলে নেওয়ার দাবি জানান তিনি। বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, ৩৯ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কেউ কোনদিন অভিযোগ করতে পারে নাই। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একটা গঠনতন্ত্র আছে। এই গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে আপনার আমার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোন অধিকার নেই। আমরা ব্যাক্তি স্বার্থে রাজনীতি করি না। কেন্দুয়া বিলে আমার ১৫০ বিঘা জমি যা দলীয় নেতা ও কর্মীদের ভাগ করে দিয়েছি। যেখান থেকে একটি টাকাও আমি গ্রহণ করি না। আজকে এই সময়ে আমার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হয়েছে তা খুব ন্যাক্কারজনক। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অথবা জেলা কমিটির অগোচরে বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক কিভাবে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এটা আমার বোধগম্য নয়। দলের কাছে আমার একটাই চাওয়া, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে অথবা কেউ যদি কোন অভিযোগ করতে পারে বা কোন সত্যতা পাওয়া যায় তবে দল আমার বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্ত নেবে আমি তা মাথা পেতে নেব। আর উনি (জেলা বিএনপির আহবায়ক) যেভাবে আমাকে অব্যাহতি দিয়েছেন তা বৈধ নয়। এটা সাংবিধানিক ভাবে গ্রহন যোগ্য নয়। অতএব আমি এতদিন যেভাবে আপনাদের সাথে ছিলাম, আজও সেভাবে আছি এবং যতদিন বাঁচবো আপনাদের ছেড়ে কোথাও যাব না। ##