টানা ১৫ ঘন্টায় যশোরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলায় ২০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে বিমান বাহিনীর আবহাওয়া অফিস। এটাই ছিল চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। এদিকে, ভারী বৃষ্টিপাতে শহরের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। শহরের বেশিরভাগ জায়গায় বাড়িঘরে পানি উঠেছে। শহরের সড়কগুলো ছিলো পানির নীচে। এছাড়া, চাঁচড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে যশোরে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এক পর্যায়ে রাত ৯টার দিকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। যা টানা চলে সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত। যশোর বিমানবন্দরের আবহাওয়া অফিস সকাল ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে ২০২ মিলিমিটার। এ বৃষ্টির কারণে শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সড়কগুলো ছিল পানির নীচে। বৃষ্টির পানিতে মানুষের দুর্ভোগ ছিল চরমে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন যশোরে এ পরিমাণ বৃষ্টিপাত তারা আগে কখনো দেখেননি।
যশোরের উপশহর, খড়কি, বারান্দিপাড়া, রেলগেট, বেজপাড়া, টিবি ক্লিনিক, শংকরপুর, লিচুতলা, কদমতলা, শংকরপুর, বেজপাড়া, বারান্দিপাড়া, বকচরসহ গোটা শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা ছিল পানির নীচে। ওইসব এলাকার মানুষের ঘরে পানিতে টইটুম্বুর ছিল। প্লাবিত অঞ্চলগুলোর মানুষ ছিল চরম দুর্ভোগে। ঘরে পানি উঠায় তাদের সকাল ও দুপুরের খাবার জোটেনি। দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি বন্ধ হওয়ায় পানি কমতে শুরু করে ও পরিস্থিতি খানিকটা স্বাভাকি হয়।
এদিকে, শহরতলীর চাঁচড়া এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রে হাঁটু পানি উঠে যাওয়ায় গোটা শহরে বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। কারণ পানি মধ্যে বিদ্যুৎ সচল করা হলে তা থেকে দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকে। দুপুরের পর পানি কমে গেলে শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। ভারী এ বৃষ্টিপাতের কারণে শহরবাসী সোমবার সারাদিনই চরম দুর্ভোগে কাটিয়েছেন।
অফিস : ৬৯/৭০ কেসিসি সুপার মার্কেট ( ২য় তলা ) খুলনা সদর, খুলনা। প্রকাশক - সম্পাদক : সুনীল দাস বার্তা সম্পাদক : তরিকুল ইসলাম ডালিম চিফ রিপোর্টার : মোঃ নাঈমুজ্জামান শরীফ । যোগাযোগ : dainikmadhumati@gmail.com, newsdainikmadhumoti@gmail.com Office No : Editor : 01712680702 / 01912067948
© All rights reserved by www.dainikmadhumati.com (Established in 2022)