০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রঙিন ফুলকপি চাষে আলোকিত শ্যামল পাল

####

বাগেরহাটের ফকিরহাটে প্রথমবারের মতো রঙিন জাতের ফুলকপি চাষে সফল হয়েছেন শ্যামল পাল নামে এক কৃষক। রঙ বেরঙের বাহারী ফুলকপি উচ্চমূল্যে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন এই কৃষক, পাশাপাশি স্থানীয় চাষিদের এটি চাষে বাড়ছে আগ্রহ। উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের মাসকাটা গ্রামে ৫০ শতক জমিতে হলুদ, সাদা ও বেগুনী রঙের ফুলকপি চাষ করেছেন চাষি শ্যামল পাল। স্মল হোল্ডার এগ্রিকালচারাল ক¤িপটিটিভনেস প্রজেক্ট(এসএসিপি) এর আওতায় চাষকৃত রঙিন জাতের এই ফুলকপিগুলো পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং দাম সাধারণ জাতের ফুলকপির চেয়ে তিনগুণ বেশি।

কৃষক শ্যামল পাল জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় তিনি ৫০ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করেন। সাধারণ সাদা জাতের ফুলকপি বাজারে প্রতি পিস ২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও তিনি এই ফুল কপি প্রতি পিস প্রায় ৬০ টাকা দামে বিক্রি করছেন। নতুন জাত ও দাম বেশি হওয়ায় আগামী মৌসুমে তিনি আরো বেশি জমিতে এই ফুলকপি চাষ করবেন বলে জানান। স্থানীয় কৃষাণি সুনন্দা দাস সহ কয়েকজন কৃষক জানান, সাধারণ জাতের মতোই রঙিন ফুলকপির ফলন ভালো হয়েছে। ভালো চাহিদা ও উচ্চমূল্য হওয়ায় বেশি লাভ পাওয়া যায়। তা দেখে তারা উৎসাহিত হয়েছেন। তাই আগামীতে তারা এই জাতের ফুলকপি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হেসেন বলেন, “এসএসিপি প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষামূলকভাবে এটি চাষ করা হয়েছে। কৃষক শ্যামল পালকে আমরা রঙিন ফুলকপির বীজ, জৈব সার ও ফেরোমন ফাঁদ দিয়েছিলাম। উৎপাদন ভালো হওয়ায় উপজেলার অন্য কৃষকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। রঙিন ফুলকপির পুষ্টিগুণ ও বাজারমূল্য অনেক বেশি। খেতেও সুস্বাদু। আশা করছি আগামীতে উপজেলায় রঙিন জাতের ফুলকপির চাষ আরো বাড়বে।” ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বলেন, এসএসিপি প্রকল্পের আওতায় কৃষকেরা নিরাপদ ও পুষ্টিগুণস¤পন্ন নতুন নতুন সবজি উৎপাদন করছেন। কৃষি বিভাগের সহায়তায় বাজার লিংকেজ করে দেওয়ায় চাষিরাও ভালো দাম পাচ্ছেন।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

গোপালগঞ্জে অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, কথিত ডাক্তার আটক

রঙিন ফুলকপি চাষে আলোকিত শ্যামল পাল

প্রকাশিত সময় : ০১:৪১:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

####

বাগেরহাটের ফকিরহাটে প্রথমবারের মতো রঙিন জাতের ফুলকপি চাষে সফল হয়েছেন শ্যামল পাল নামে এক কৃষক। রঙ বেরঙের বাহারী ফুলকপি উচ্চমূল্যে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন এই কৃষক, পাশাপাশি স্থানীয় চাষিদের এটি চাষে বাড়ছে আগ্রহ। উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের মাসকাটা গ্রামে ৫০ শতক জমিতে হলুদ, সাদা ও বেগুনী রঙের ফুলকপি চাষ করেছেন চাষি শ্যামল পাল। স্মল হোল্ডার এগ্রিকালচারাল ক¤িপটিটিভনেস প্রজেক্ট(এসএসিপি) এর আওতায় চাষকৃত রঙিন জাতের এই ফুলকপিগুলো পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং দাম সাধারণ জাতের ফুলকপির চেয়ে তিনগুণ বেশি।

কৃষক শ্যামল পাল জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় তিনি ৫০ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করেন। সাধারণ সাদা জাতের ফুলকপি বাজারে প্রতি পিস ২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও তিনি এই ফুল কপি প্রতি পিস প্রায় ৬০ টাকা দামে বিক্রি করছেন। নতুন জাত ও দাম বেশি হওয়ায় আগামী মৌসুমে তিনি আরো বেশি জমিতে এই ফুলকপি চাষ করবেন বলে জানান। স্থানীয় কৃষাণি সুনন্দা দাস সহ কয়েকজন কৃষক জানান, সাধারণ জাতের মতোই রঙিন ফুলকপির ফলন ভালো হয়েছে। ভালো চাহিদা ও উচ্চমূল্য হওয়ায় বেশি লাভ পাওয়া যায়। তা দেখে তারা উৎসাহিত হয়েছেন। তাই আগামীতে তারা এই জাতের ফুলকপি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হেসেন বলেন, “এসএসিপি প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষামূলকভাবে এটি চাষ করা হয়েছে। কৃষক শ্যামল পালকে আমরা রঙিন ফুলকপির বীজ, জৈব সার ও ফেরোমন ফাঁদ দিয়েছিলাম। উৎপাদন ভালো হওয়ায় উপজেলার অন্য কৃষকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। রঙিন ফুলকপির পুষ্টিগুণ ও বাজারমূল্য অনেক বেশি। খেতেও সুস্বাদু। আশা করছি আগামীতে উপজেলায় রঙিন জাতের ফুলকপির চাষ আরো বাড়বে।” ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বলেন, এসএসিপি প্রকল্পের আওতায় কৃষকেরা নিরাপদ ও পুষ্টিগুণস¤পন্ন নতুন নতুন সবজি উৎপাদন করছেন। কৃষি বিভাগের সহায়তায় বাজার লিংকেজ করে দেওয়ায় চাষিরাও ভালো দাম পাচ্ছেন।