রূপসা প্রতিনিধি: উপজেলা রূপসার শ্রীফলতলা ইউনিয়নের সাবেক ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুর খা’র পুত্র কামরুল খা(৫০) ও তার দুঃসম্পর্কের ভাই মৃত সাদেক শেখের পুত্র আজিজ শেখ(৪০) কে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা । এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের। ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রহমানকে পুত্র শ্রীফল তলা ইউনিয়নের পেয়ারা গ্রামের বাসিন্দা কামরুল খা মাসখানেক আগে ভবানীপুর মৌজায় ২১ শতক জমি ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে ঘাটভোগ ইউনিয়নের পুটিমারী গ্রামের জলিল লস্কর ও সবুর লস্করের নিকট হতে জমি খরিদ করে। চলতি মাসের ১২ তারিখে কামরুল খা জমি বিক্রেতার নিকট হতে খরিদকৃত জমি সীমানা নির্ধারণ করে বুঝে নিতে চাইলে পার্শ্ববর্তী শরিক পেয়ারারা গ্রামের মৃত তৈবুর রহমান খা’র পুত্র মহিব্বুর খা তাতে বাঁধা দেয়। গ্রাম্য পর্যায়ে মীমাংসা করার চেষ্টা হলে মহিব্বুর খা তা মানতে রাজি হয় না। গত ১৭ জুন সকাল ৮টার দিকে মহিব্বুর ও তার ভাগ্নে নুর আমিন বিভিন্ন প্রকার হুমকিধামকি ও প্রাণনাশের ভয় ভীতি প্রদান করতে থাকে। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা জমি মাপতে চাইলে তখন ক্ষিপ্ত হয়ে কামরুলের গতিরোধ করে পুঁটিমারি পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের সামনের কালভার্টের উপর দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসুটা দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে কামরুল খাঁ ও তার দুঃসম্পর্কের ভাই মৃত সাদেক শেখের পুত্র আজিজ শেখকে মারাত্মকভাবে জখম করে। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যরা কামরুল খাঁকে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা করায় ও আজিজ শেখকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করায়। এতে আজিজ শেখের মাথায় মহিব্বুর হাসো দাউ দিয়ে কোপ মেরে মারাত্মকভাবে জখম করেছে। এ ঘটনায় কামরুল ওই দিনই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও পুঁটিমারি পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম কামরুল খাঁ বলেন, আমি নগদ টাকায় জমি খরিদ করেছি। এবং উপজেলা রেজিস্ট্রি অফিস থেকে আমার নামে রেজিস্ট্রিও হয়েছে । এতেই প্রতিপক্ষরা আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারপিট করে মারাত্মকভাবে আহত করেছে। এবং বিভিন্নভাবে আমাকে ভয়- ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেচ্ছে। এতে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই প্রশাসনের কাছে দাবি জানায় আমি যেন এর সুষ্ঠু বিচার পাই। রূপসা থানাধীন পুঁটিমারি পুলিশ ক্যাম্পের এসআই বাবলা দাস বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কামালউদ্দিন বাদশা বলেন, এরকম একটা ঘটনা আমি শুনেছি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা অহিদুজ্জামান মিজান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য সচিব তাওহিদ মোল্লা ও আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল ইসলাম রবু সহ কয়েকজনের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্থানীয়ভাবে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করার জন্য।
১০:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঘোষণা
রূপসায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কামরুল ও তার ভাইকে মারপিট করে আহত করেছে প্রতিপক্ষ
- সংবাদদাতা
- প্রকাশিত সময় : ১০:৫৪:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩
- ৪৮ পড়েছেন
Tag :
জনপ্রিয়