০১:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রূপসায়  মৎস্য ঘেরে বিষে ৩ লাখ টাকার ক্ষতি মৎস্যচাষীর

###   খুলনার রূপসা উপজেলার দেবীপুর পদ্মবিলে রূপসা-বাগেরহাট পুরাতন সড়ক সংলগ্ন এলাকায় মোঃ কামরুল ইসলামের সাড়ে ৮ বিঘার চিংড়ি ঘেরে  রাতের আধারে বিষপ্রয়োগ করেছে দূবৃত্তরা। এতে প্রায় ৩লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। গত মঙ্গলবার  রাতে এই ঘটন ঘটে। ভুক্তভোগী দেবীপুর গ্রামের মোঃ আইয়ুব আলী শেখের পুত্র মোঃ কামরুল ইসলাম জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় মোঃ কামরুল ইসলাম ঘের পাহারা দেয়। এক পর্যায় রাত ১০টার দিকে ঘেরের ঘরে শুয়ে পড়েন। প্রতিদিন তিনি ভোর সাড়ে চারটায় ঘুম থেকে উঠে পার্শ্ববর্তী মসজিদে নামাজ আদায় করে পাশর্^বর্তী একটি দোকান থেকে সকালে চা-বিস্কুট খেয়ে বাড়িতে চলে যায়। কিন্তু ঘটনার দিন সকাল সাতটার পরে ঘুম থেকে উঠে ঘুম জড়িত চোখে বাড়ি যেয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা তাকে ডেকে তুলে মাছের খাবার দিতে ঘেরে পাঠালে তিনি ঘেরে এসে আবারও ঘুমিয়ে পড়েন। দুপুর দেড়টায় পার্শ্ববর্তী ঘের মালিক ফারুক মোল্লা ও শহীদ শেখ তার ঘেরে মাছ মরা দেখে তাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন।
ভুক্তভোগীর বক্তব্য তাকে ঐ দিন ঘুমে অচেতন করার জন্য যেকোনো ধরনের অচেতনমূলক স্প্রে প্রয়োগ করে তারপর দুর্বৃত্তরা তার ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে গলদা চিংড়ি মাছ চুরি করে নিয়ে যায়। এবং বাকি মাছ দিনের বেলা মরে ভেসে ওঠে। এতে তার তিন লক্ষাধিক টাকার মাছের ক্ষতি হয়েছে। ভুক্তভোগী ঘের মালিক কামরুল ইসলাম আরো বলেন, কে বা কারা আমার ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে আমার ক্ষতি করে তা জানি না।   জমিজমা নিয়ে তার সাথে কতিপয় ব্যক্তিদের বিরোধের জের ধরে কোর্টে একটি মামলা এবং থানায় অভিযোগ করা ব্যক্তিরা এঘটনা ঘটাতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। তারা হলেন- দেবীপুর গ্রামের মোঃ রশিদ মোড়লের পুত্র মোঃ আব্দুল ইউসুফ (২৬), খালেক শেখের পুত্র কামাল শেখ (৩১) ও মৃত নারায়ণ চন্দ্র পালের পুত্র সুভাষ কুমার পাল (৫৫)। এই তিনজনের নামে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭ ও ১১৭ ধারায় একটি মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়াও উক্ত ঘের নৈহাটি গ্রামের মোঃ মোজাফর শেখের নিকট তিন বছরের লিজ দেওয়া কালিন সময় ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের ২০ তারিখে মাছ লুট করে নেওয়া ও মারপিট করার অভিযোগে ২১ ডিসেম্বর’২১ রূপসা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। মামলার বিবাদী উক্ত তিন ব্যক্তিসহ দেবীপুর গ্রামের সবুর শেখের পুত্র মহাসিন শেখ (৪২) এই চারজনের নাম উল্লেখ করে। এরা আমাকে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পঙ্গু করার জন্য আমার ঘেরে বিষ প্রয়োগ করতে পারে বলে আমি ধারণা করছি।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দেবীপুর গ্রামের ওহাব শেখের পুত্র আরিফুল শেখ বলেন, কামরুল শেকের ঘিরে কে বা কারা বিষ প্রয়োগ করেছে। যা ফলে উনার অনেক মাছ মারা গেছে, তবে উনার সাথে দেবীপুর গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তির দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে তা অনেকেই জানে। ভুক্তভোগী কামরুল শেখ জানান, আমাকে যেহেতু চেতনা নাশক দিয়ে স্প্রে করেছে। আমি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে পারিনি। তবে থানায় যোগাযোগ করেছি।  যারা আমার ঘিরে বিষ প্রয়োগ করেছেন। তারা শুধু আমার ক্ষতি করেননি। তারা দেশের অর্থনীতিকেও ক্ষতিগ্রন্ত করেছে। মানুষের মৎস্য চাহিদার ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন। আমি প্রশাসনের কাছে তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। ##
Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা দু’গ্রুপের হাতাহাতিতে ভন্ডুল

রূপসায়  মৎস্য ঘেরে বিষে ৩ লাখ টাকার ক্ষতি মৎস্যচাষীর

প্রকাশিত সময় : ০২:৩৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২
###   খুলনার রূপসা উপজেলার দেবীপুর পদ্মবিলে রূপসা-বাগেরহাট পুরাতন সড়ক সংলগ্ন এলাকায় মোঃ কামরুল ইসলামের সাড়ে ৮ বিঘার চিংড়ি ঘেরে  রাতের আধারে বিষপ্রয়োগ করেছে দূবৃত্তরা। এতে প্রায় ৩লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। গত মঙ্গলবার  রাতে এই ঘটন ঘটে। ভুক্তভোগী দেবীপুর গ্রামের মোঃ আইয়ুব আলী শেখের পুত্র মোঃ কামরুল ইসলাম জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় মোঃ কামরুল ইসলাম ঘের পাহারা দেয়। এক পর্যায় রাত ১০টার দিকে ঘেরের ঘরে শুয়ে পড়েন। প্রতিদিন তিনি ভোর সাড়ে চারটায় ঘুম থেকে উঠে পার্শ্ববর্তী মসজিদে নামাজ আদায় করে পাশর্^বর্তী একটি দোকান থেকে সকালে চা-বিস্কুট খেয়ে বাড়িতে চলে যায়। কিন্তু ঘটনার দিন সকাল সাতটার পরে ঘুম থেকে উঠে ঘুম জড়িত চোখে বাড়ি যেয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা তাকে ডেকে তুলে মাছের খাবার দিতে ঘেরে পাঠালে তিনি ঘেরে এসে আবারও ঘুমিয়ে পড়েন। দুপুর দেড়টায় পার্শ্ববর্তী ঘের মালিক ফারুক মোল্লা ও শহীদ শেখ তার ঘেরে মাছ মরা দেখে তাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন।
ভুক্তভোগীর বক্তব্য তাকে ঐ দিন ঘুমে অচেতন করার জন্য যেকোনো ধরনের অচেতনমূলক স্প্রে প্রয়োগ করে তারপর দুর্বৃত্তরা তার ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে গলদা চিংড়ি মাছ চুরি করে নিয়ে যায়। এবং বাকি মাছ দিনের বেলা মরে ভেসে ওঠে। এতে তার তিন লক্ষাধিক টাকার মাছের ক্ষতি হয়েছে। ভুক্তভোগী ঘের মালিক কামরুল ইসলাম আরো বলেন, কে বা কারা আমার ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে আমার ক্ষতি করে তা জানি না।   জমিজমা নিয়ে তার সাথে কতিপয় ব্যক্তিদের বিরোধের জের ধরে কোর্টে একটি মামলা এবং থানায় অভিযোগ করা ব্যক্তিরা এঘটনা ঘটাতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। তারা হলেন- দেবীপুর গ্রামের মোঃ রশিদ মোড়লের পুত্র মোঃ আব্দুল ইউসুফ (২৬), খালেক শেখের পুত্র কামাল শেখ (৩১) ও মৃত নারায়ণ চন্দ্র পালের পুত্র সুভাষ কুমার পাল (৫৫)। এই তিনজনের নামে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭ ও ১১৭ ধারায় একটি মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়াও উক্ত ঘের নৈহাটি গ্রামের মোঃ মোজাফর শেখের নিকট তিন বছরের লিজ দেওয়া কালিন সময় ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের ২০ তারিখে মাছ লুট করে নেওয়া ও মারপিট করার অভিযোগে ২১ ডিসেম্বর’২১ রূপসা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। মামলার বিবাদী উক্ত তিন ব্যক্তিসহ দেবীপুর গ্রামের সবুর শেখের পুত্র মহাসিন শেখ (৪২) এই চারজনের নাম উল্লেখ করে। এরা আমাকে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পঙ্গু করার জন্য আমার ঘেরে বিষ প্রয়োগ করতে পারে বলে আমি ধারণা করছি।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দেবীপুর গ্রামের ওহাব শেখের পুত্র আরিফুল শেখ বলেন, কামরুল শেকের ঘিরে কে বা কারা বিষ প্রয়োগ করেছে। যা ফলে উনার অনেক মাছ মারা গেছে, তবে উনার সাথে দেবীপুর গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তির দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে তা অনেকেই জানে। ভুক্তভোগী কামরুল শেখ জানান, আমাকে যেহেতু চেতনা নাশক দিয়ে স্প্রে করেছে। আমি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে পারিনি। তবে থানায় যোগাযোগ করেছি।  যারা আমার ঘিরে বিষ প্রয়োগ করেছেন। তারা শুধু আমার ক্ষতি করেননি। তারা দেশের অর্থনীতিকেও ক্ষতিগ্রন্ত করেছে। মানুষের মৎস্য চাহিদার ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন। আমি প্রশাসনের কাছে তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। ##