### খুলনার রূপসায় সিবিআই ইট ভাটায় বিনিয়োগ করে টাকা ফেরত না পেয়ে প্রায় অর্ধশত মানুষ দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। বিনিয়োগকৃত প্রায় ১ কোটি টাকা সময় মত ফেরত না পাওয়ায় প্রতিনিয়ত হতাশার ভিতর দিন অতিবাহিত করছে পাওনাদাররা।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, রূপসা উপজেলার নৈহাটী ইউনিয়নের নেহালপুর গ্রামে কনকর্ড ব্রিকস ইন্ডাস্ট্রিজ (সিবিআই ইট ভাটা) অবস্থিত। যে ভাটায় প্রতি বছরের মত বর্ষা মৌসুমের শুরুতে প্রায় অর্ধশত বিনিয়োগকারীদের নিকট থেকে অগ্রিম ইট বিক্রয় বাবদ ১ কোটি টাকার মত গ্রহন করে। চুক্তি অনুযায়ী ৩০ চৈত্র শেষে বিনিয়োগকারীদের ক্রয়কৃত ইট অথবা লভ্যাংশসহ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও কাউকে কোন টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বিনিয়োগকারীরা কনকর্ড ব্রিকস ইন্ডাস্ট্রিজ (সিবিআই ইট ভাটা) এর ম্যানেজার লুৎফর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি টাকা বা ইট ফেরত দেওয়ার কোন ব্যবস্থা না করে বিভিন্ন রকম তালবাহনা শুরু করেন। এক পর্যায়ে কনকর্ড ব্রিকসের মালিক আঃ সাত্তারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিনিয়োগকৃত টাকা ফেরত দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেয়। পরবর্তীতে বিনিয়োগকারীরা সুষ্ঠু সমাধান ও টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় নৈহাটী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বুলবুল বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে উভয় পক্ষকে নিয়ে এক শালিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে এক সপ্তাহ পরে টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয় সিদ্ধান্ত হয়।
বিষয়টি নিয়ে বিনিয়োগ কারী নেহালপুর গ্রামের মো: সিদ্দিকুর রহমান জানান, আমরা এতগুলো মানুষ কোটি টাকার মত বিনিয়োগ করে টাকা ফেরত না পেয়ে হতাশার ভিতর দিন কাটাচ্ছি। আমরা লভ্যাংশ চাই না, আমাদের মূল টাকা ফেরত দেওয়া হোক। তা না হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। অপর একজন বিনিয়োগকারি জানান, টাকা বিনিয়োগ করে আমরা বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরেও টাকা পাচ্ছি না। আমাদের টাকা ফেরত দেওয়া হোক, না হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হব। এ ব্যাপারে নৈহাটী ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বুলবুল জানান, বৈঠকে মালিক পক্ষ এক সপ্তাহের সময় নিয়েছে। তবে ভাটার মালিক আঃ সাত্তারের অগোচরে ম্যানেজার লুৎফর রহমান মানুষের নিকট থেকে টাকা গ্রহন করেন। এজন্য ম্যানেজারের বাড়ী বিক্রি করে বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান। এব্যাপারে ভাটার মালিক আঃ সাত্তার বলেন, আমি কারোর থেকে টাকা গ্রহণ করিনি। আমার ভাটার রশিদ ছাপিয়ে অন্য আরেকজন টাকা গ্রহণ করেছে। ইউনিয়ন পরিষদে বসাবসি হয়েছিলো। যে টাকা গ্রহণ করেছে সেই টাকা ফেরত দিবে বলে সেখানে আলোচনা হয়েছে। ওই টাকার দায়ভার আমার না। রাখালের কাছে গরু রাখতে দিয়ে মালিকের কাছে ফেরত চাইলে তো আর পাওয়া যাবেনা।##