১০:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংখ্যালঘুদের সংরক্ষিত সংসদীয় আসন ও পৃথক র্নিবাচনের দাবী এবং অত্যাচার-র্নিযাতন বন্ধ ও শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন

###

খুলনায় হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত সংসদীয় আসন ও পৃথক র্নিবাচনের দাবী এবং সারা দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার-র্নিযাতন বন্ধ, মন্দির-বাড়িঘরে হামলা, জমিজমা জবর দখল ও লুটপাটকারীদের কঠোর শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে খুলনা জেলা বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, আইনজীবি জোট ও ছাত্র-যুবজোটের যৌথ উদ্যোগে নগরীর পিকচার মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিরেন্দ্র নাথ ঘোষা। বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের খুলনার র্নিবাহী সভাপতি এ্যাড. রাম কৃষ্ণ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন জোটের নেতা সুশান্ত ‍কুন্ডু, কৃষ্ণ নন্দী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবোধ বসু, এ্যাড. নমিতা গোলদার, এ্যাড. অসিত তরফদার, বানীব্রত সাহা প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান সবাই ঐক্যবদ্ধবাবে যুদ্ধ করেছিল। তখন কোন ভেদাভেদ ছিলো না। কিন্তু গত ৫০বছরে দেশের সংখ্যালঘুরা সব সরকারের সময়ে অত্যাচার-র্নিযাতনের শিকার হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। উগ্র ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক গোষ্টি হিন্দুদের জমিজমা, ঘরবাড়ি ও সহায় সম্পাদ দখল করতে মরিয়া হয়ে ‍উঠেছে।সরকারী ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের ব্যানারে ও প্রভাবশালী এমপি, মন্ত্রী ও নেতাদের সহযোগীতায় সারা দেশের হিন্দুদের জমিজমা ও ঘরবাড়ি দখল করা হচ্ছে। সেখানে পুলিশ, প্রশাসন ও সরকার কোন ব্যবস্তা নিচ্ছে না। অত্যাচার-র্নিযাতনের শিকার হয়ে গত ৫০বছরে দুইকোটিরও বেশী সংখ্যালঘুরা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। বিশেষ করে বিগত বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময়ে প্রায় ৫০হাজার সংখ্যালঘু র্নিযাতনের ঘটনা ঘটেছে। হিন্দুদের মন্দির, ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্টানে হামলা করে লুটপাট ও দখল করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়েও ব্যাপকহারে হিন্দুদের মন্দির ভাংচুর, ঘরবাড়িতে হামলা ও লুটপাট এবং হত্যাসহ মামলা দিয়ে র্নিযাতন করা হচ্ছে। কিন্তু সরকার ও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। উপরোন্তু পুলিশ ও প্রশাসন হামলাকারীদের পক্ষ নিয়ে সংখ্যালগুদের উপর আরও বেশী অত্যাচার চালাচ্ছে। বিশেষ করে ফেসবুকে একটি উগ্র-জঙ্গী গোষ্টি নিজেরাই অপপ্রচার চালিয়ে হিন্দুদের উপর দোষ চাপিয়ে সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্টানে হামলা ও লুটপাট চালাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলেও সরকার কোন ব্যবস্তা নিচ্ছে না। সামনে জাতীয় সংসদ র্নিবাচনকে সামনে রেখে আবারও বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে। কোন প্রতিকার মিলছে না। তাই সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় ও অত্যাচার-র্নিযাতন বন্ধে জাতীয় সংসদে সংখ্যলঘুদের জন্য আসন সংরক্ষণ এবং পৃথক র্নিবাচনের দাবীতে সারা দেশে আন্দোলন শুরু হয়েছে। আগামী র্নিবাচনে সংখ্যালঘুদের ভোট পেতে হলে এ দাবী মেনে নিয়ে বাস্তবায়ন করার আহবান জানানো হয়।একই সাথে হিন্দুদের দখল হয়ে যাওয়া জমিজমা ফেরতের জন্য অর্পিত সম্পত্তি র্প্রর্ত্যাপন আইন দ্রুততার সাথে যথাযথ বাস্তবায়নের দাবীও জানান নেতৃবৃন্দ। অন্যথায় সংখ্যালঘুরা ভোটদান থেকে বিরত থাকাসহ বিকল্প ভাবনা ভাববে বলেও হুশিয়ারী দেয়া হয়। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

সংখ্যালঘুদের সংরক্ষিত সংসদীয় আসন ও পৃথক র্নিবাচনের দাবী এবং অত্যাচার-র্নিযাতন বন্ধ ও শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন

প্রকাশিত সময় : ০২:২২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩

###

খুলনায় হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত সংসদীয় আসন ও পৃথক র্নিবাচনের দাবী এবং সারা দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার-র্নিযাতন বন্ধ, মন্দির-বাড়িঘরে হামলা, জমিজমা জবর দখল ও লুটপাটকারীদের কঠোর শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে খুলনা জেলা বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, আইনজীবি জোট ও ছাত্র-যুবজোটের যৌথ উদ্যোগে নগরীর পিকচার মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিরেন্দ্র নাথ ঘোষা। বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের খুলনার র্নিবাহী সভাপতি এ্যাড. রাম কৃষ্ণ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন জোটের নেতা সুশান্ত ‍কুন্ডু, কৃষ্ণ নন্দী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবোধ বসু, এ্যাড. নমিতা গোলদার, এ্যাড. অসিত তরফদার, বানীব্রত সাহা প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান সবাই ঐক্যবদ্ধবাবে যুদ্ধ করেছিল। তখন কোন ভেদাভেদ ছিলো না। কিন্তু গত ৫০বছরে দেশের সংখ্যালঘুরা সব সরকারের সময়ে অত্যাচার-র্নিযাতনের শিকার হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। উগ্র ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক গোষ্টি হিন্দুদের জমিজমা, ঘরবাড়ি ও সহায় সম্পাদ দখল করতে মরিয়া হয়ে ‍উঠেছে।সরকারী ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের ব্যানারে ও প্রভাবশালী এমপি, মন্ত্রী ও নেতাদের সহযোগীতায় সারা দেশের হিন্দুদের জমিজমা ও ঘরবাড়ি দখল করা হচ্ছে। সেখানে পুলিশ, প্রশাসন ও সরকার কোন ব্যবস্তা নিচ্ছে না। অত্যাচার-র্নিযাতনের শিকার হয়ে গত ৫০বছরে দুইকোটিরও বেশী সংখ্যালঘুরা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। বিশেষ করে বিগত বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময়ে প্রায় ৫০হাজার সংখ্যালঘু র্নিযাতনের ঘটনা ঘটেছে। হিন্দুদের মন্দির, ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্টানে হামলা করে লুটপাট ও দখল করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়েও ব্যাপকহারে হিন্দুদের মন্দির ভাংচুর, ঘরবাড়িতে হামলা ও লুটপাট এবং হত্যাসহ মামলা দিয়ে র্নিযাতন করা হচ্ছে। কিন্তু সরকার ও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। উপরোন্তু পুলিশ ও প্রশাসন হামলাকারীদের পক্ষ নিয়ে সংখ্যালগুদের উপর আরও বেশী অত্যাচার চালাচ্ছে। বিশেষ করে ফেসবুকে একটি উগ্র-জঙ্গী গোষ্টি নিজেরাই অপপ্রচার চালিয়ে হিন্দুদের উপর দোষ চাপিয়ে সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্টানে হামলা ও লুটপাট চালাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলেও সরকার কোন ব্যবস্তা নিচ্ছে না। সামনে জাতীয় সংসদ র্নিবাচনকে সামনে রেখে আবারও বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে। কোন প্রতিকার মিলছে না। তাই সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় ও অত্যাচার-র্নিযাতন বন্ধে জাতীয় সংসদে সংখ্যলঘুদের জন্য আসন সংরক্ষণ এবং পৃথক র্নিবাচনের দাবীতে সারা দেশে আন্দোলন শুরু হয়েছে। আগামী র্নিবাচনে সংখ্যালঘুদের ভোট পেতে হলে এ দাবী মেনে নিয়ে বাস্তবায়ন করার আহবান জানানো হয়।একই সাথে হিন্দুদের দখল হয়ে যাওয়া জমিজমা ফেরতের জন্য অর্পিত সম্পত্তি র্প্রর্ত্যাপন আইন দ্রুততার সাথে যথাযথ বাস্তবায়নের দাবীও জানান নেতৃবৃন্দ। অন্যথায় সংখ্যালঘুরা ভোটদান থেকে বিরত থাকাসহ বিকল্প ভাবনা ভাববে বলেও হুশিয়ারী দেয়া হয়। ##