১০:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মহানগরীতে ঘরবাড়ি নির্মানে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর হচ্ছে কেডিএ:

সঠিকভাবে বাড়ি নির্মানে ৭২অনুমোদনপ্রাপ্তদের ৮জনের সায়, তীব্র ক্ষোভ কেডিএ চেয়ারম্যানের

####

খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(কেডিএ)-এর চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস.এম. মিরাজুল ইসলাম প্রথমবারের মত আনুষ্ঠানিকভাবে ৭২জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ভবন নির্মানের নকশা প্রদান করেছেন। খুলনা মহানগরীকে সুশৃঙ্খল, আধুনিক ও পরিবেশ বান্ধব করে গড়তে বিল্ডিং কোড ও আইন মেনে ঘরবাড়ি নির্মানে সচেতনা সৃষ্টির ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ নিয়েছেন কেডিএ চেয়ারম্যান। মহানগরীতে জমির মালিকদের নতুন ভবন নিমানে নিয়মনীতি অনুসরন করে এনওসি পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও দালিলিক প্রমানক জমাদান ও সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ভবনের নকশা অনুমোদন দেয় কেডিএ। এরআগে দৈনন্দিনভাবে নকশার অনুমোদিত হলে প্রত্যেক জমির মালিককে ব্যক্তিগতভাবে অথরাইজড সেকশন থেকে প্রদান করা হতো। কিন্তু সোমবার গত তিন মাসে ভবনের নকশা অনুমোদনপ্রাপ্তদের সাথে মতবিনিময় করে সার্টিফিকেট প্রদান করেন চেয়ারম্যান। এ সময় কেডিএ চেয়ারম্যান নকশা অনুমোদনপ্রাপ্তদেরকে আইন মেনে নকশা অনুযায়ী বাড়ি নির্মান করবেন এবং নির্মিত বাড়িতে চা খাওয়ার দাওয়াতের কথা জানানে ৭২জনের মধ্যে মাত্র ০৮জন তার কথায় সায় দেন। এ সময় কেডিএ চেয়ারম্যান সঠিকভাবে নকশানুযায়ী ভবন নির্মানের কথায় অনুমোদনপ্রাপ্ত সকলেই সায় না দেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

কেডিএ’র কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় কেডিএ চেয়ারম্যান পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টশনের মাধ্যমে বিদ্যমান সরকারী ও কেডিএ’র আইন এবং বিল্ডিং কোড অনুযায়ী করনীয় বিষয়ে নকশার অনুমোদনপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরকে বিস্তারিত অবহিত করেন। এ সময় তিনি জমির পরিমানের সাথে চারদিকে খোলা জায়গা, রাস্তা থেকে ভবনের দুরত্ব ও শরু রাস্তার জন্য কিভাবে ও কত পরিমান জমি ছাড় দিয়ে ভবন করতে হবে সে বিষয়ে আইন ও বিল্ডিং কোড নীতিমালা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বলেন, নগরীতে কোন ধরনের ভবন নির্মান করতে হলে অবশ্যই ২০ফুট রাস্তা অবশ্যই থাকতে হবে। ২০ফুটের কম রাস্তা থাকলে সেখানে এনওসি এবং নকশার অনুমোদন দেয়া হবে না। এক্ষেত্রে ২০ফুটের রাস্তা থাকলে রাস্তার থেকে ৫ফুট দুরত্বে, ১২ফুট রাস্তা থাকলে ৯ফুট দুরত্বে এবং ৮ফুট রাস্তা থাকলে ১১ফুট দুরত্বে ভবন নির্মান করতে হবে।এর কোনরূপ ব্যাত্যয় ঘটানো যাবে না। এ সময় তিনি নগরীতে বাড়ি নির্মানে উচ্ছুক ব্যক্তি ও প্রতিষ্টানের মালিক ও প্রতিনিধিদেরকে বিল্ডিং কোড ও আইন মেনে বাড়ি করার জন্য তাগিদ দেন। একই সাথে নকশা বর্হিভূতভাবে ভবন নির্মান করলে তার জন্য আইনগত ব্যবস্থা, নির্মান বন্ধ করা, জরিমানা, নকশা বাতিল ও নির্মিত ভবন ভেঙ্গে দেয়াসহ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনেরও ঘোষনা দেন। তিনি নকশা বর্হিভুতভাবে ভবন নির্মান না করতে এবং নগরীকে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সুশৃঙ্খল ও পরিবেশ বান্ধব নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সহযোগীতার আহবান জানান। মতবিনিময় সভায় কেডিএ সচিব মো: তবিবুর রহমান, সদস্য(এষ্টেট) আবুল কালাম আজাদ, সদস্য(পরিকল্পনা ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রন) শবনম সাবা, সদস্য(উন্নয়ন) মো: জামাল উদ্দিন, পরিচালক(এষ্টেট) মো: বদিউজ্জামান, সিনিয়র বৈষয়িক অফিসার শামীম জেহাদ, অথরাইজড অফিসার জিএম মাসুদুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: মুজিবুর রহমান,এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট সাজিয়া আফরিন, উপপরিচালক এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী, স্থপতি জিনিয়া হক পিংকি, হিসাবরক্ষন অফিসার এমএম হোসেন আলী, পরিকল্পনা কর্মকর্তা তানভীর আহমেদসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কেডিএ’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএম. মিরাজুল ইসলাম বলেন, কেডিএ আওতাভুক্ত এলাকায় যেকোন ধরনের ভবন নির্মানের জন্য জমির মালিক ও প্রতিষ্ঠানগুলি যেন বিদ্যমান আইন সম্পর্কে অবগত হয়ে বাড়ি নির্মান করে সেজন্য সচেতনতা সৃষ্টিতে এই মতবিনিময় করেন।তিনি যোগদান করার পরে সুশৃঙ্খল ও পরিবেশ বান্ধব মহানগরী গড়তে আইন ও বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মানের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই কেসিসির কাউন্সিলরবৃন্দ, ইমাম পরিষদ ও বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের সাথে মতবিনিময় করেছেন। কেডিএ’র এ ধরনের কাজ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

মহানগরীতে ঘরবাড়ি নির্মানে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর হচ্ছে কেডিএ:

সঠিকভাবে বাড়ি নির্মানে ৭২অনুমোদনপ্রাপ্তদের ৮জনের সায়, তীব্র ক্ষোভ কেডিএ চেয়ারম্যানের

প্রকাশিত সময় : ০৭:৪৮:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

####

খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(কেডিএ)-এর চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস.এম. মিরাজুল ইসলাম প্রথমবারের মত আনুষ্ঠানিকভাবে ৭২জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ভবন নির্মানের নকশা প্রদান করেছেন। খুলনা মহানগরীকে সুশৃঙ্খল, আধুনিক ও পরিবেশ বান্ধব করে গড়তে বিল্ডিং কোড ও আইন মেনে ঘরবাড়ি নির্মানে সচেতনা সৃষ্টির ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ নিয়েছেন কেডিএ চেয়ারম্যান। মহানগরীতে জমির মালিকদের নতুন ভবন নিমানে নিয়মনীতি অনুসরন করে এনওসি পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও দালিলিক প্রমানক জমাদান ও সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ভবনের নকশা অনুমোদন দেয় কেডিএ। এরআগে দৈনন্দিনভাবে নকশার অনুমোদিত হলে প্রত্যেক জমির মালিককে ব্যক্তিগতভাবে অথরাইজড সেকশন থেকে প্রদান করা হতো। কিন্তু সোমবার গত তিন মাসে ভবনের নকশা অনুমোদনপ্রাপ্তদের সাথে মতবিনিময় করে সার্টিফিকেট প্রদান করেন চেয়ারম্যান। এ সময় কেডিএ চেয়ারম্যান নকশা অনুমোদনপ্রাপ্তদেরকে আইন মেনে নকশা অনুযায়ী বাড়ি নির্মান করবেন এবং নির্মিত বাড়িতে চা খাওয়ার দাওয়াতের কথা জানানে ৭২জনের মধ্যে মাত্র ০৮জন তার কথায় সায় দেন। এ সময় কেডিএ চেয়ারম্যান সঠিকভাবে নকশানুযায়ী ভবন নির্মানের কথায় অনুমোদনপ্রাপ্ত সকলেই সায় না দেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

কেডিএ’র কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় কেডিএ চেয়ারম্যান পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টশনের মাধ্যমে বিদ্যমান সরকারী ও কেডিএ’র আইন এবং বিল্ডিং কোড অনুযায়ী করনীয় বিষয়ে নকশার অনুমোদনপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরকে বিস্তারিত অবহিত করেন। এ সময় তিনি জমির পরিমানের সাথে চারদিকে খোলা জায়গা, রাস্তা থেকে ভবনের দুরত্ব ও শরু রাস্তার জন্য কিভাবে ও কত পরিমান জমি ছাড় দিয়ে ভবন করতে হবে সে বিষয়ে আইন ও বিল্ডিং কোড নীতিমালা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বলেন, নগরীতে কোন ধরনের ভবন নির্মান করতে হলে অবশ্যই ২০ফুট রাস্তা অবশ্যই থাকতে হবে। ২০ফুটের কম রাস্তা থাকলে সেখানে এনওসি এবং নকশার অনুমোদন দেয়া হবে না। এক্ষেত্রে ২০ফুটের রাস্তা থাকলে রাস্তার থেকে ৫ফুট দুরত্বে, ১২ফুট রাস্তা থাকলে ৯ফুট দুরত্বে এবং ৮ফুট রাস্তা থাকলে ১১ফুট দুরত্বে ভবন নির্মান করতে হবে।এর কোনরূপ ব্যাত্যয় ঘটানো যাবে না। এ সময় তিনি নগরীতে বাড়ি নির্মানে উচ্ছুক ব্যক্তি ও প্রতিষ্টানের মালিক ও প্রতিনিধিদেরকে বিল্ডিং কোড ও আইন মেনে বাড়ি করার জন্য তাগিদ দেন। একই সাথে নকশা বর্হিভূতভাবে ভবন নির্মান করলে তার জন্য আইনগত ব্যবস্থা, নির্মান বন্ধ করা, জরিমানা, নকশা বাতিল ও নির্মিত ভবন ভেঙ্গে দেয়াসহ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনেরও ঘোষনা দেন। তিনি নকশা বর্হিভুতভাবে ভবন নির্মান না করতে এবং নগরীকে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সুশৃঙ্খল ও পরিবেশ বান্ধব নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সহযোগীতার আহবান জানান। মতবিনিময় সভায় কেডিএ সচিব মো: তবিবুর রহমান, সদস্য(এষ্টেট) আবুল কালাম আজাদ, সদস্য(পরিকল্পনা ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রন) শবনম সাবা, সদস্য(উন্নয়ন) মো: জামাল উদ্দিন, পরিচালক(এষ্টেট) মো: বদিউজ্জামান, সিনিয়র বৈষয়িক অফিসার শামীম জেহাদ, অথরাইজড অফিসার জিএম মাসুদুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: মুজিবুর রহমান,এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট সাজিয়া আফরিন, উপপরিচালক এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী, স্থপতি জিনিয়া হক পিংকি, হিসাবরক্ষন অফিসার এমএম হোসেন আলী, পরিকল্পনা কর্মকর্তা তানভীর আহমেদসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কেডিএ’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএম. মিরাজুল ইসলাম বলেন, কেডিএ আওতাভুক্ত এলাকায় যেকোন ধরনের ভবন নির্মানের জন্য জমির মালিক ও প্রতিষ্ঠানগুলি যেন বিদ্যমান আইন সম্পর্কে অবগত হয়ে বাড়ি নির্মান করে সেজন্য সচেতনতা সৃষ্টিতে এই মতবিনিময় করেন।তিনি যোগদান করার পরে সুশৃঙ্খল ও পরিবেশ বান্ধব মহানগরী গড়তে আইন ও বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মানের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই কেসিসির কাউন্সিলরবৃন্দ, ইমাম পরিষদ ও বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের সাথে মতবিনিময় করেছেন। কেডিএ’র এ ধরনের কাজ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান। ##