####

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হামলা ও চিকিৎসককে মারপিটের ঘটনার প্রতিবাদে সারাদেশে চিকিৎসকদের কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণার প্রভাব পড়েনি খুলনার কোন হাসপাতালে। খুলনাঞ্চলের সবচেয়ে বড় খুলনা মেডিকেল কলেজহাসপাতাল(খুমেক) ও শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালসহ সকল হাসপাতালেই স্বাভাবিক র্কাযক্রম চলছে। রবিবার দুপুরে খুমেক হাসপাতাল, আবু নাসের হাসপাতাল ও ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ঘুরে সব হাসপাতালেই চিকিৎসকদের কাজ করতে দেখা গেছে। প্রতিটি হাসপাতালের জরুরী বিভাগ, বর্হিবিভাগসহ সবখানেই ডাক্তাররা সেবা দিচ্ছেন। তবে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের খুলনা শাখার নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন তাদের জরুরী সভা থেকে পরবর্তী করনীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে ইর্ন্টাণ চিকিৎসকরা বিকেল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক ডা: ‍সুহাষ রঞ্জন হালদার জানান, খুমেক হাসপাতালের র্কাযক্রম অন্যান্য দিনের মতই চলছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ঘটনায় ডাক্তারদের মধ্যে কিছুটা ‍উত্তেজনা রয়েছে কির্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়ে। তবে ইর্ন্টাণ চিকিৎসকরা ঢাকার চিকিৎসকদের কর্মসূচীর সাথে একাত্নতা ঘোষনা করে কাজ থেকে বিরত থাকতে চায়। সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাভাবিক র্কাযক্রম চলছে বরেও তিনি জানান। খুমেক হাসপাতালের উপপরিচালক জানান, যদিও ঢাকা মেডিকেলের ঘটনায় চিকিৎসকরা ক্ষুব্ধ, তবুও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বা বিএমএ’র কোন সিদ্ধান্ত না আসায় খুমেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে যায়নি।

খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের পরিচালক জানান, চিকিৎসকরা অন্যান্য দিনের মতই তাদের র্কাযক্রম অব্যাহত রেখেছে। ঢাকার ঘটনায় ও কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষনার বিষয়ে হাসপাতালের কাজে কোন প্রভাব পড়েনি। ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকরা যেটা ঘোষনা করেছেন সেটি ওই হাসপাতাল কেন্দ্রিক। দেশব্যাপী কোন ঘষনা নয়, সে কারনে খুলনায়ও চিকিৎসকরা নিরাপত্তার বিষয়ে শঙ্কিত হলেও শাটডাউন কর্মসূচীতে এখনও অংশ নেয়নি।

খুলনা ২৫০শয্য জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা: আবু রাশেদ জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অনাকাঙ্খিত ঘটনার পর খুলনার চিকিৎসকরাও অনেকটাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তবুও এখানে কেউই কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করেনি। কাজ স্বাভাবিক রকমই চলছে। এখনও কোন সমস্যা হয়নি।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্নস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ডা: তাহমিদ আল মাশরুর জানান, ইন্টার্নী চিকিৎসকরা রবিবার বিকেল থেকে র্কমবিরতি করছেন। সোমবার দুপুরে সমাবেশ আহবান করা হয়েছে। সেখান থেকে পরবর্তী কমর্সূচী ঘোষনা করা হবে। তবে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইর্ন্টাণী চিকিৎসক ও পোষ্টগ্রাজুয়েট চিকিৎসকরা সোমবার মেডিকেল কলেজের সামনে অবস্থান কমর্সূচী ঘোষনা করেছে।

এদিকে, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন-বিএমেএ নেতৃবৃন্দ জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তারা সব সময়ই দেশের হাসপাতালুগলোতে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার জন্য দাবী জানিয়ে আসছেন। কিন্তু চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি। বিএমএ’র সভায় সকলের মতামতের ভিত্তিতে করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।  ##