####

সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের কেন্দ্রীয় সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, গণতন্ত্র, সুশাসন ও ভোটাধিকার রক্ষায় সমাজের সচেতন মানুষ হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয় সেজন্য রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতার বিকল্প নেই। মহান মুক্তিযুদ্ধ যে উদ্দেশ্যে করা হয়েছে সেই ভোটাধিকার দেশ স্বাধীনের ৫২ বছরেও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সরকার সামনে সাজানো নির্বাচনের দিকে এগুচ্ছে। দেশ সহিংসতার দিকে ধাবিত হবে। এতে করে দেশের কেউই নিরাপদ নয়। এ জন্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার। কাজেই ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার কোন বিকল্প পথ নেই। তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেয়ার বিষয়টি সাংবিধানিকভাবে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সব দলের অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক এটাই সবার চাওয়া। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি তার অনুকুলে নেই। এ পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে হলে সবাইকে এক টেবিলে বসতে হবে। কিন্তু দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দু’দলের এক টেবিলে বসার বা সমঝোতার কোন মনোভাব নেই। এতে করে দেশে সংকট ও সহিংসতা আরো বাড়বে বলে আশংকা করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, দেশের একটি বড় মহল মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী হয়ে গেছে। সচেতন নাগরিক হিসেবে চিন্তা চেতনা তুলে ধরার সুযোগ হয়েছে। ভোটাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা অনেক গুরুত্বপূর্ন বিষয়। কিন্তু এ দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয়েছে। এখন সময় এসেছে ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সমুন্নত করার। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতার লক্ষ্যে খুলনা বিভাগীয় কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার সকালে খুলনা মহানগরীর সিএসএস আভা সেন্টারে ভোটার অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড এ্্যাকটিভ সিটেজেনারি প্রকল্পের সহায়তায় দি হাঙ্গার প্রজেক্টেও উদ্যোগে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

কর্মশালায় বক্তৃতা করেন সুজনের খুলনা বিভাগীয় কমিটির সভাপতি শিক্ষাবিদ প্রফেসর জাফর ইমাম, খুলনা মহানগর আ’লীগের সাধারন সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, বিএনপির মহানগর কমিটির সাবেক যুগ্মসম্পাদক অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম, জাসদ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ খালিদ হোসেন, ওয়ার্কার্স পার্টির খুলনা মহানগর সভাপতি মফিদুল ইসলাম, বাসদ নেতা জর্নান্দন দত্ত নান্টু, জেএসডি জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ফ.ম মুহসীন, বাংলাদেশ জাসদ নেতা রফিকুল হক খোকন, নারী নেত্রী তাজিমা মজুমদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র সরকার, এড. তসলিমা খাতুন ছন্দা, হাঙ্গার প্রজেক্টের বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রঞ্জু ও সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার রুবিনা আক্তার প্রমুখ। কর্মশালায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও নাগরিক নেতৃবৃন্দ তাদের মতামত তুলে ধরেন। কর্মশালায় অংশগ্রহনকারী রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে বর্তমান রাজনৈতিক সমস্য সমাধানে ১৫ দফা সুপারিশমালা গ্রহন করা হয়।  যা পরবর্তীতে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল ও নির্বাচন কমিশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে তুলে ধরা হবে। ##