১০:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুষ্ঠু ও সুন্দর বুদ্ধিভিত্তিক চর্চা অব্যাহত রাখতে বিতর্কের বিকল্প নেই : খুবি উপাচার্য

####

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেছেন, বিতর্ক হচ্ছে যুক্তির খেলা। যুক্তিতর্কের মাধ্যমে নতুনত্বের সৃষ্টি হয়। যার কাছে যত যুক্তি, সে তত বেশি সমৃদ্ধ। সুষ্ঠু ও সুন্দর বুদ্ধিভিত্তিক চর্চা অব্যাহত রাখতে বিতর্কের কোনো বিকল্প নেই। পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য যুক্তিতর্ক দিয়ে যথাযথভাবে গড়ে তুলতে এই প্রতিযোগিতা সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বলেন, শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি কো-কারিকুলা ও এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিসে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নেতৃত্বগুণ সম্পন্ন যোগ্য মানুষ হিসেবে তৈরি হয়। পরিবেশ শুধু প্রাকৃতিক পরিবেশ নয়, আচার-ব্যবহার, চাল-চলন সবকিছুই পরিবেশের অন্তর্ভুক্ত। পৃথিবীতে মানুষই একমাত্র তার পরিবেশকে মোডিফাইড করতে পারে। আমাদের সেই অসীম ক্ষমতা রয়েছে। আমরা কিভাবে পরিবেশকে আগামী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য হিসেবে রেখে যাবো সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, প্রকৃতি বিনষ্ট করার কারণে আজ বারবার পরিবেশ রক্ষার কথা সামনে আসছে। দেরিতে হলেও আমরা পরিবেশের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছি। ধরিত্রীকে রক্ষা করা এককভাবে কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে পরিবেশকে রক্ষা করতে গোটা পৃথিবীকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের উচিত পরিবেশকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বসবাসের উপযোগী করে রেখে যাওয়া। এজন্য পরিবেশের ক্ষতি করে এমন কাজ আমাদের পরিহার করতে হবে। পরিবেশ বিষয়ে অ্যাওয়ারনেস বাড়াতে হবে। যা থেকে বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি। তিনি এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য এনভায়রনমেন্টাল এ্যাওয়ারনেস ক্লাবকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শুধু বিজয়ী দল নয়, শ্রোতারাও যুক্তিতর্কের খেলায় নানা তথ্যের মাধ্যমে আরও বেশি সমৃদ্ধ হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আজ ২৮ আগস্ট (সোমবার) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে আন্তঃডিসিপ্লিন বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের অধীনে পরিচালিত এনভায়রনমেন্টাল এ্যাওয়ারনেস ক্লাব এ প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে।ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন। এসময় বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী, এ্যাওয়ারনেস ক্লাবের সদস্য ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংসদীয় পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০টি দল অংশগ্রহণ করছে। প্রতিযোগিতায় স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী। প্রতিযোগিতায় বিচারকমণ্ডলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. শাহনেওয়াজ নাজিমুদ্দিন আহমেদ, গণিত ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মুন্নুজাহান আরা, ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রফেসর সেহেরীশ খান। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে আগামী ০৫ সেপ্টেম্বর।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

সুষ্ঠু ও সুন্দর বুদ্ধিভিত্তিক চর্চা অব্যাহত রাখতে বিতর্কের বিকল্প নেই : খুবি উপাচার্য

প্রকাশিত সময় : ০৮:০৩:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩

####

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেছেন, বিতর্ক হচ্ছে যুক্তির খেলা। যুক্তিতর্কের মাধ্যমে নতুনত্বের সৃষ্টি হয়। যার কাছে যত যুক্তি, সে তত বেশি সমৃদ্ধ। সুষ্ঠু ও সুন্দর বুদ্ধিভিত্তিক চর্চা অব্যাহত রাখতে বিতর্কের কোনো বিকল্প নেই। পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য যুক্তিতর্ক দিয়ে যথাযথভাবে গড়ে তুলতে এই প্রতিযোগিতা সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বলেন, শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি কো-কারিকুলা ও এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিসে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নেতৃত্বগুণ সম্পন্ন যোগ্য মানুষ হিসেবে তৈরি হয়। পরিবেশ শুধু প্রাকৃতিক পরিবেশ নয়, আচার-ব্যবহার, চাল-চলন সবকিছুই পরিবেশের অন্তর্ভুক্ত। পৃথিবীতে মানুষই একমাত্র তার পরিবেশকে মোডিফাইড করতে পারে। আমাদের সেই অসীম ক্ষমতা রয়েছে। আমরা কিভাবে পরিবেশকে আগামী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য হিসেবে রেখে যাবো সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, প্রকৃতি বিনষ্ট করার কারণে আজ বারবার পরিবেশ রক্ষার কথা সামনে আসছে। দেরিতে হলেও আমরা পরিবেশের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছি। ধরিত্রীকে রক্ষা করা এককভাবে কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে পরিবেশকে রক্ষা করতে গোটা পৃথিবীকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের উচিত পরিবেশকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বসবাসের উপযোগী করে রেখে যাওয়া। এজন্য পরিবেশের ক্ষতি করে এমন কাজ আমাদের পরিহার করতে হবে। পরিবেশ বিষয়ে অ্যাওয়ারনেস বাড়াতে হবে। যা থেকে বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি। তিনি এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য এনভায়রনমেন্টাল এ্যাওয়ারনেস ক্লাবকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শুধু বিজয়ী দল নয়, শ্রোতারাও যুক্তিতর্কের খেলায় নানা তথ্যের মাধ্যমে আরও বেশি সমৃদ্ধ হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আজ ২৮ আগস্ট (সোমবার) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে আন্তঃডিসিপ্লিন বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের অধীনে পরিচালিত এনভায়রনমেন্টাল এ্যাওয়ারনেস ক্লাব এ প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে।ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন। এসময় বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী, এ্যাওয়ারনেস ক্লাবের সদস্য ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংসদীয় পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০টি দল অংশগ্রহণ করছে। প্রতিযোগিতায় স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী। প্রতিযোগিতায় বিচারকমণ্ডলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. শাহনেওয়াজ নাজিমুদ্দিন আহমেদ, গণিত ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মুন্নুজাহান আরা, ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রফেসর সেহেরীশ খান। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে আগামী ০৫ সেপ্টেম্বর।