০৭:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রধানমন্ত্রীকে বরন করতে প্রস্তুত খুলনা : নগরী জুড়ে উৎসবের আমেজ

স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বৃহৎ জনসভার মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসের রাজনীতির জবাব দেয়া হবে 

  • ।। সুনীল দাস ।।
  • প্রকাশিত সময় : ০৮:০৮:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩
  • ৬৩ পড়েছেন

####

সোমবার(১৩নভেম্বর) খুলনায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠের জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর জনসভার জন্য নৌকা ও পদ্মা সেতুর আদলে সভামঞ্চ নির্মান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও জনসভা সফল করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খরা বাহিনী। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে মহানগরীর সকল অলিগলি, সড়ক-মহাসড়ক ও পাড়ামহল্লায় প্রধানমন্ত্রীকে স্বগত জানিয়ে ব্যানার, ফেষ্টুন, বিলবোর্ড ও দুই হাজারেরও বেশী তোরণ নির্মান করা হয়েছে। আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা দিনরাত পরিশ্রম করে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মিটিং, আলোচনা ও কর্মীসভা করে প্রধানমন্ত্রীকে বরনের সকল প্রস্তুতি নিয়েছেন। প্রতিদিন সকাল, দুপুর ও বিকেলে আনন্দ মিছিল, সভা-সমাবেশ ও প্রচারনা চলছে। রবিবার দুপুরে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্মসাধারন সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম ও জনসভার প্রধান সমন্বয়ক প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দিন এবং সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা জনসভার স্থল সার্কিট হাউজ মাঠ পরিদর্শনে করেছেন। এ সময় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম. মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সুজিত অধিকারী, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবু, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারন সম্পাদক মো: কামরুজ্জামান জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার প্রেমকুমার মন্ডল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ, জেরা যুবলীগের সভাপতি চৌধুরী রায়হান ফরিদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো: আবু হানিফ, সাধারন সম্পাদক আজিজুর রহমান রাসেল, অধ্যাপক রুনু ইকবাল বিথার, সদর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: সাইফুল ইসলাম, কাউন্সিলর মো: রফিক উদ্দিনসহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া একই সময়ে জনসভাস্থল পরিদর্শনে আসেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো: হেলাল মাহমুদ শরীফ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সরোজ কুমার নাথ, কেএমপির পুলিশ কমিশনার মো: মোজাম্মেল হক, ডিআইজি মইনুল হক, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসীর আরেফিন, অতিরিক্ত জেরা প্রশাসক পুলক কুমার মন্ডল, পুলিশ সুপার মো: সাইদুর রহমানসহ পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জনসভার স্থান ও সভামঞ্চ নির্মান কাজ পরিদর্শনের পর আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্মসাধারন সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, খুলনাঞ্চলে গত ১৫বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে  েউন্নয়ণ হয়েছে তার জন্য এ অঞ্চলের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর উপর কৃতজ্ঞ। এজন্য ১৩নভেম্বরের জনসভায় কুষ্টিয়া থেকে শুরু করে পিরোজপুর ও গোপালগঞ্জের লাখ লাখ দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষ একনজর দেখতে ও তার কাজের সমর্থন জানাতে আসবে। জনসভায় উপস্থিত হওয়ার মধ্য দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ বিএনপি-জামাতের ধ্বংসাত্নক, নৈরাজ্য এবং আগুনসন্ত্রাসের রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন-সমৃদ্ধির রাজনীতি ও নৌকার পক্ষে গনজোয়ার সৃষ্টি করবে। যে জোয়ারে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত ভেষে গিয়ে আওয়ামীলীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে। শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মত প্রধানমন্ত্রী হবেন। তিনি বলেন, জনসভায় প্রধানমন্ত্রী যে দিক নির্দেশনা দেবেন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নির্দেশনানুযায়ী সাধারন মানুষকে সাথে নিয়ে বিরোধীদের জবাব দিয়ে নৌকাকে আবারও বিজয়ী করবে ইসশাল্রাহ।

এ সময় খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার খালেক বলেন, খুলনা অঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী যেসব উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন সেটার কারনে এ অঞ্চলের মানুষ খুশীতে তার জনসভায় উপস্থিত হবেন। বিশেষ করে পদ্মাসেতু, মোংলা বন্দর সচল করা, খুলনা নগরীর রাস্তা,ড্রেন ও জলাবদ্ধতা দুরীকরন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, শিশু হাসপাতাল, শেখ আবু নাসের হাসপাতাল, শেখ আবু নাসের ষ্টেডিয়ামসহ কয়েকশত উন্নয়ন কাজ করেছেন। যার কারনে এ অঞ্চলের মানুষ এখন সুখে আছেন। খুলনাসহ বিবাগের প্রতিটি জেরা ও উপজেলার সাধারণ মানুষ জেগে উঠেছে। দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পক্ষে গনজাগরণ তৈরী হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জনসভার দিন সার্কিট হাউস মাঠে থাকবেন নারী কর্মীরা। পুরুষ নেতাকর্মীরা থাকবেন মাঠের চারপাশের সড়কগুলোতে। মাঠ ছাড়াও নগরীর কাস্টমস ঘাট থেকে শিববাড়ি মোড়, জেলখানা ঘাট, সদর থানার মোড়, হাদিস পার্ক ও হাজী মুহসীন রোডে মাইক দেওয়া হবে। শিববাড়ি মোড়, ময়লাপোতা বঙ্গবন্ধ চত্বর, রয়েল মোড়সহ বেশ কয়েকটি স্থানে এলইডি মনিটরে দেখানো হবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ। ১৩নভেম্বরের জনসভা নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে পরিনত হবে খুলনা। এজন্য খুলনা বিভাগের ১০জেলা ও পিরোজপুর এবং গোপালগঞ্জের মানুষও প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন দিতে জনসভায় উপস্থিত হবেন।

খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রধান সমন্বয়ক ও প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের সবচেয়ে বড় উপহার দিয়েছেন শেখ হাসিনা পদ্মাসেতু। যার ফলে এ অঞ্চলের মানুষ সবকিছুই অনেক সুবিধাজনক হয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষের চাকুরী, ব্যবসাবানিজ্যসহ সকল ক্সেত্রে পদ্মাসেতু সুবিধা এনে দিয়েছে। যা খুলনায় খালেদা জিয়া এমপি হয়েও একদিনও মানুষকে ও ভোটারদেরকে দেখতে আসেনি। বিএনপি-জামায়াত সরকার খুলনার জণ্য কিচুই করেনি, খুলনাবাসীকে কিছুই দেয়নি। উপরোন্তু বিএনপি মোংলা বন্দর বন্ধ করে দিয়েছিল, খুলনার শিল্পকারখানা বন্ধ করে দিয়েছিল। শেখ হাসিনা কিছু কিছু চালু করেছেন। বাকীগুলোও আস্তে আস্তে চালু করা হবে। যেন সাধারন মানুষ খেটে খেতে পারে। তিনি বলেন, খুলনার সার্কিট হাউজ মাঠের জনসভায় মানুষের উপস্থিতির মাধ্যমে দেখিয়ে দেয়া হবে কাদের জনসমর্থন বেশী রয়েছে। ১৩নভেম্বরের জনসভাকে স্বাধীনতার পরের স্মরণকালের সবচেয়ে বৃহৎ জনসভা হবে বলেও আশা করেন।

এদিকে, খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, প্রধানমন্ত্রী জনসভায় খুলনাঞ্চলের ২৪টি উন্নয়ণ প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৫টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই শেষ হওয়া ২৪টি প্রকল্প উদ্বোধন ও ৫টি উন্নয়ণ প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন। প্রকল্পগুলোর তালিকা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রেরিত উদ্বোধনযোগ্য প্রকল্পের মধ্যে গণপূর্ত বিভাগের রয়েছে ৮টি। সেগুলো হলো-নগরীর সাউথ সেন্ট্রাল রোডে ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের ভবন নির্মাণ কাজ, শামসুর রহমান রোডে সিভিল সার্জনের অফিস ভবন ও বাসভবন। খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন কাজ। খুলনা শিক্ষানবিশী প্রশিক্ষণ দপ্তর সংস্কার ও আধুনিকায়ন কাজ। বিএসটিআই’র ১০তলা আঞ্চলিক অফিস ভবন নির্মাণ। বাংলাদেশ কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র(বিটাক) খুলনা কেন্দ্রে ১০ তলা বিশিষ্ট নারী হোস্টেল ভবন নির্মাণ। পাইকগাছা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবন নির্মাণ কাজ। নগরীর দৌলতপুরে কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের ৪তলা ছাত্র হোস্টেল নির্মাণ কাজ। এছাড়া সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের আওতায় সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন (ইকোট্যুরিজম) সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত শেখেরটেক ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১০টি প্রকল্পের মধ্যে ডুমুরিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫তলা একাডেমিক কাম ৪ তলা প্রশাসনিক ও ওয়ার্কসপ ভবন নির্মাণ কাজ। বয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খুলনা কলেজিয়েট স্কুল, সরকারি এলবিকে ডিগ্রি মহিলা কলেজ, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ, চালনা বাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, তালিমুল মিল্লাত রহমাতিয়া ফাজিল মাদরাসা, নজরুলনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং আরআরএফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটিতে ৬তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ। আড়ংঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের(এলজিইডি) আওতায় প্রকল্প রয়েছে-ডুমুরিয়া উপজেলার চটচটিয়া-শিবনগর সড়কে ভদ্রা নদীর ওপর ৩১৫ দশমিক ৩০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ কাজ । একই সাথে খুলনা সিটি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা উন্নয়ন ও পুনর্বাসন প্রকল্প এবং খুলনা শহরে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খালিশপুর বিআইডিসি রোডে ড্রেন, ফুটপাত নির্মাণসহ রাস্তা প্রশস্তকরণ ও পুননির্মাণ কাজ। এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় নগরীর দৌলতপুরে অতিরিক্ত পরিচালকের ৬ তলা বিশিষ্ট নবনির্মিত অফিস ভবন।

এছাড়া ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য রয়েছে খুলনা সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মাথাভাঙ্গা এলাকায় স্যানিটারি ল্যান্ডফিল নির্মাণ কাজ ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন দিঘলিয়া টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ৫তলা একাডেমিক কাম ৪তলা প্রশাসনিক ও ওয়ার্কসপ ভবন নির্মাণ কাজসহ ৫টি উন্নয়ণ প্রকল্প রাকা হয়েছে।

খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. সুচিত অধিকারী, যুগ্মসাধারন সম্পাদক মো: কামরুজ্জামান জামাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রেমকুমার মন্ডলসহ একাধিক নেতৃবৃন্দ জানান, প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে খুলনায় বরণ করতে ইতোমধ্যে দফায় দফায় দল ও সহযোগী সংগঠনগুলো সভা করে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সার্কিট হাউস মাঠের আবাহনী ক্রীড়াচক্র প্রান্তে তৈরি করা হচ্ছে নিচে নৌকা ও উপরে পদ্মা সেতুর আদলে ৯০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪০ ফুট প্রস্থের মঞ্চ। এছাড়া জনসভার প্রস্তুতির জন্য প্রতিদিন সকল উপজেলা, ইউনিয়ন ও খুলনা মহানগরীতে প্রচার মিছিল করছেন নেতাকর্মীরা। দিনরাত চলছে মাইকিং, লাগানো হয়েছে পোস্টার, বিলবোর্ড, প্ল্যাকার্ড। গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে রাতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে দুই সহস্রাধিক তোরণ। জনসভায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও পাশের পিরোজপুর ও গোপালগঞ্জ জেলা থেকে ১৫লাক্সাধিক মানুষের সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই নগরীর রাজপথে নেতাকর্মীর ঢল নামবে। সার্কিট হাউজ মাঠের জনসভা জনসমৃদ্রে রূপ নেবে বলেও তারা আশা করেন।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পিজিআরের বিশেষ ফোর্স ও খুলনা মহানগর পুলিশ। জনসভা স্থল ও আশপাশে ইতিমধ্যেই তাদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে মঞ্চ তৈরী করা হয়েছে।েআশপাশের সকল রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কেএমপি কমিশনার মো: মোজাম্মেল হক জানান, জনসভাস্থলে পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ কাজ করবে। সার্কিট হাউস মাঠ ও আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। গোটা নগরী নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। পুলিমের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে। জনসভাস্থলে আসা এবং জনসভা শেষে যাতে লোকজন নির্বিঘ্নে ফিরে যেতে পারে সেজন্য পযার্প্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

প্রধানমন্ত্রীকে বরন করতে প্রস্তুত খুলনা : নগরী জুড়ে উৎসবের আমেজ

স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বৃহৎ জনসভার মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসের রাজনীতির জবাব দেয়া হবে 

প্রকাশিত সময় : ০৮:০৮:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

####

সোমবার(১৩নভেম্বর) খুলনায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠের জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর জনসভার জন্য নৌকা ও পদ্মা সেতুর আদলে সভামঞ্চ নির্মান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও জনসভা সফল করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খরা বাহিনী। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে মহানগরীর সকল অলিগলি, সড়ক-মহাসড়ক ও পাড়ামহল্লায় প্রধানমন্ত্রীকে স্বগত জানিয়ে ব্যানার, ফেষ্টুন, বিলবোর্ড ও দুই হাজারেরও বেশী তোরণ নির্মান করা হয়েছে। আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা দিনরাত পরিশ্রম করে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মিটিং, আলোচনা ও কর্মীসভা করে প্রধানমন্ত্রীকে বরনের সকল প্রস্তুতি নিয়েছেন। প্রতিদিন সকাল, দুপুর ও বিকেলে আনন্দ মিছিল, সভা-সমাবেশ ও প্রচারনা চলছে। রবিবার দুপুরে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্মসাধারন সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম ও জনসভার প্রধান সমন্বয়ক প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দিন এবং সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা জনসভার স্থল সার্কিট হাউজ মাঠ পরিদর্শনে করেছেন। এ সময় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম. মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সুজিত অধিকারী, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবু, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারন সম্পাদক মো: কামরুজ্জামান জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার প্রেমকুমার মন্ডল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ, জেরা যুবলীগের সভাপতি চৌধুরী রায়হান ফরিদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো: আবু হানিফ, সাধারন সম্পাদক আজিজুর রহমান রাসেল, অধ্যাপক রুনু ইকবাল বিথার, সদর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: সাইফুল ইসলাম, কাউন্সিলর মো: রফিক উদ্দিনসহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া একই সময়ে জনসভাস্থল পরিদর্শনে আসেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো: হেলাল মাহমুদ শরীফ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সরোজ কুমার নাথ, কেএমপির পুলিশ কমিশনার মো: মোজাম্মেল হক, ডিআইজি মইনুল হক, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসীর আরেফিন, অতিরিক্ত জেরা প্রশাসক পুলক কুমার মন্ডল, পুলিশ সুপার মো: সাইদুর রহমানসহ পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জনসভার স্থান ও সভামঞ্চ নির্মান কাজ পরিদর্শনের পর আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্মসাধারন সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, খুলনাঞ্চলে গত ১৫বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে  েউন্নয়ণ হয়েছে তার জন্য এ অঞ্চলের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর উপর কৃতজ্ঞ। এজন্য ১৩নভেম্বরের জনসভায় কুষ্টিয়া থেকে শুরু করে পিরোজপুর ও গোপালগঞ্জের লাখ লাখ দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষ একনজর দেখতে ও তার কাজের সমর্থন জানাতে আসবে। জনসভায় উপস্থিত হওয়ার মধ্য দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ বিএনপি-জামাতের ধ্বংসাত্নক, নৈরাজ্য এবং আগুনসন্ত্রাসের রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন-সমৃদ্ধির রাজনীতি ও নৌকার পক্ষে গনজোয়ার সৃষ্টি করবে। যে জোয়ারে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত ভেষে গিয়ে আওয়ামীলীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে। শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মত প্রধানমন্ত্রী হবেন। তিনি বলেন, জনসভায় প্রধানমন্ত্রী যে দিক নির্দেশনা দেবেন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নির্দেশনানুযায়ী সাধারন মানুষকে সাথে নিয়ে বিরোধীদের জবাব দিয়ে নৌকাকে আবারও বিজয়ী করবে ইসশাল্রাহ।

এ সময় খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার খালেক বলেন, খুলনা অঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী যেসব উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন সেটার কারনে এ অঞ্চলের মানুষ খুশীতে তার জনসভায় উপস্থিত হবেন। বিশেষ করে পদ্মাসেতু, মোংলা বন্দর সচল করা, খুলনা নগরীর রাস্তা,ড্রেন ও জলাবদ্ধতা দুরীকরন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, শিশু হাসপাতাল, শেখ আবু নাসের হাসপাতাল, শেখ আবু নাসের ষ্টেডিয়ামসহ কয়েকশত উন্নয়ন কাজ করেছেন। যার কারনে এ অঞ্চলের মানুষ এখন সুখে আছেন। খুলনাসহ বিবাগের প্রতিটি জেরা ও উপজেলার সাধারণ মানুষ জেগে উঠেছে। দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পক্ষে গনজাগরণ তৈরী হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জনসভার দিন সার্কিট হাউস মাঠে থাকবেন নারী কর্মীরা। পুরুষ নেতাকর্মীরা থাকবেন মাঠের চারপাশের সড়কগুলোতে। মাঠ ছাড়াও নগরীর কাস্টমস ঘাট থেকে শিববাড়ি মোড়, জেলখানা ঘাট, সদর থানার মোড়, হাদিস পার্ক ও হাজী মুহসীন রোডে মাইক দেওয়া হবে। শিববাড়ি মোড়, ময়লাপোতা বঙ্গবন্ধ চত্বর, রয়েল মোড়সহ বেশ কয়েকটি স্থানে এলইডি মনিটরে দেখানো হবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ। ১৩নভেম্বরের জনসভা নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে পরিনত হবে খুলনা। এজন্য খুলনা বিভাগের ১০জেলা ও পিরোজপুর এবং গোপালগঞ্জের মানুষও প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন দিতে জনসভায় উপস্থিত হবেন।

খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রধান সমন্বয়ক ও প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের সবচেয়ে বড় উপহার দিয়েছেন শেখ হাসিনা পদ্মাসেতু। যার ফলে এ অঞ্চলের মানুষ সবকিছুই অনেক সুবিধাজনক হয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষের চাকুরী, ব্যবসাবানিজ্যসহ সকল ক্সেত্রে পদ্মাসেতু সুবিধা এনে দিয়েছে। যা খুলনায় খালেদা জিয়া এমপি হয়েও একদিনও মানুষকে ও ভোটারদেরকে দেখতে আসেনি। বিএনপি-জামায়াত সরকার খুলনার জণ্য কিচুই করেনি, খুলনাবাসীকে কিছুই দেয়নি। উপরোন্তু বিএনপি মোংলা বন্দর বন্ধ করে দিয়েছিল, খুলনার শিল্পকারখানা বন্ধ করে দিয়েছিল। শেখ হাসিনা কিছু কিছু চালু করেছেন। বাকীগুলোও আস্তে আস্তে চালু করা হবে। যেন সাধারন মানুষ খেটে খেতে পারে। তিনি বলেন, খুলনার সার্কিট হাউজ মাঠের জনসভায় মানুষের উপস্থিতির মাধ্যমে দেখিয়ে দেয়া হবে কাদের জনসমর্থন বেশী রয়েছে। ১৩নভেম্বরের জনসভাকে স্বাধীনতার পরের স্মরণকালের সবচেয়ে বৃহৎ জনসভা হবে বলেও আশা করেন।

এদিকে, খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, প্রধানমন্ত্রী জনসভায় খুলনাঞ্চলের ২৪টি উন্নয়ণ প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৫টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই শেষ হওয়া ২৪টি প্রকল্প উদ্বোধন ও ৫টি উন্নয়ণ প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন। প্রকল্পগুলোর তালিকা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রেরিত উদ্বোধনযোগ্য প্রকল্পের মধ্যে গণপূর্ত বিভাগের রয়েছে ৮টি। সেগুলো হলো-নগরীর সাউথ সেন্ট্রাল রোডে ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের ভবন নির্মাণ কাজ, শামসুর রহমান রোডে সিভিল সার্জনের অফিস ভবন ও বাসভবন। খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন কাজ। খুলনা শিক্ষানবিশী প্রশিক্ষণ দপ্তর সংস্কার ও আধুনিকায়ন কাজ। বিএসটিআই’র ১০তলা আঞ্চলিক অফিস ভবন নির্মাণ। বাংলাদেশ কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র(বিটাক) খুলনা কেন্দ্রে ১০ তলা বিশিষ্ট নারী হোস্টেল ভবন নির্মাণ। পাইকগাছা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবন নির্মাণ কাজ। নগরীর দৌলতপুরে কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের ৪তলা ছাত্র হোস্টেল নির্মাণ কাজ। এছাড়া সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের আওতায় সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন (ইকোট্যুরিজম) সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত শেখেরটেক ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১০টি প্রকল্পের মধ্যে ডুমুরিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫তলা একাডেমিক কাম ৪ তলা প্রশাসনিক ও ওয়ার্কসপ ভবন নির্মাণ কাজ। বয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খুলনা কলেজিয়েট স্কুল, সরকারি এলবিকে ডিগ্রি মহিলা কলেজ, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ, চালনা বাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, তালিমুল মিল্লাত রহমাতিয়া ফাজিল মাদরাসা, নজরুলনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং আরআরএফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটিতে ৬তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ। আড়ংঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের(এলজিইডি) আওতায় প্রকল্প রয়েছে-ডুমুরিয়া উপজেলার চটচটিয়া-শিবনগর সড়কে ভদ্রা নদীর ওপর ৩১৫ দশমিক ৩০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ কাজ । একই সাথে খুলনা সিটি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা উন্নয়ন ও পুনর্বাসন প্রকল্প এবং খুলনা শহরে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খালিশপুর বিআইডিসি রোডে ড্রেন, ফুটপাত নির্মাণসহ রাস্তা প্রশস্তকরণ ও পুননির্মাণ কাজ। এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় নগরীর দৌলতপুরে অতিরিক্ত পরিচালকের ৬ তলা বিশিষ্ট নবনির্মিত অফিস ভবন।

এছাড়া ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য রয়েছে খুলনা সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মাথাভাঙ্গা এলাকায় স্যানিটারি ল্যান্ডফিল নির্মাণ কাজ ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন দিঘলিয়া টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ৫তলা একাডেমিক কাম ৪তলা প্রশাসনিক ও ওয়ার্কসপ ভবন নির্মাণ কাজসহ ৫টি উন্নয়ণ প্রকল্প রাকা হয়েছে।

খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. সুচিত অধিকারী, যুগ্মসাধারন সম্পাদক মো: কামরুজ্জামান জামাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রেমকুমার মন্ডলসহ একাধিক নেতৃবৃন্দ জানান, প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে খুলনায় বরণ করতে ইতোমধ্যে দফায় দফায় দল ও সহযোগী সংগঠনগুলো সভা করে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সার্কিট হাউস মাঠের আবাহনী ক্রীড়াচক্র প্রান্তে তৈরি করা হচ্ছে নিচে নৌকা ও উপরে পদ্মা সেতুর আদলে ৯০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪০ ফুট প্রস্থের মঞ্চ। এছাড়া জনসভার প্রস্তুতির জন্য প্রতিদিন সকল উপজেলা, ইউনিয়ন ও খুলনা মহানগরীতে প্রচার মিছিল করছেন নেতাকর্মীরা। দিনরাত চলছে মাইকিং, লাগানো হয়েছে পোস্টার, বিলবোর্ড, প্ল্যাকার্ড। গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে রাতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে দুই সহস্রাধিক তোরণ। জনসভায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও পাশের পিরোজপুর ও গোপালগঞ্জ জেলা থেকে ১৫লাক্সাধিক মানুষের সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই নগরীর রাজপথে নেতাকর্মীর ঢল নামবে। সার্কিট হাউজ মাঠের জনসভা জনসমৃদ্রে রূপ নেবে বলেও তারা আশা করেন।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পিজিআরের বিশেষ ফোর্স ও খুলনা মহানগর পুলিশ। জনসভা স্থল ও আশপাশে ইতিমধ্যেই তাদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে মঞ্চ তৈরী করা হয়েছে।েআশপাশের সকল রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কেএমপি কমিশনার মো: মোজাম্মেল হক জানান, জনসভাস্থলে পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ কাজ করবে। সার্কিট হাউস মাঠ ও আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। গোটা নগরী নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। পুলিমের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে। জনসভাস্থলে আসা এবং জনসভা শেষে যাতে লোকজন নির্বিঘ্নে ফিরে যেতে পারে সেজন্য পযার্প্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ##