০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সড়ক পরিবহন আইন বিধিমালা চুড়ান্ত অনুমোদনে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান

###   সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর বিধিমালা চুড়ান্তকরন অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বরাবর খুলনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা মহানগর শাখার উদ্যোগে ১০ অক্টোবর সোমবার বেলা ১১ টায় খুলনা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পুলক কুমার মন্ডলের নিকট স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়

সময় উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা মহানগর শাখার উপদেষ্টা শ্যামল সিংহ রায়, খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি কেন্দ্রিয় কমিটির কার্য্যনির্বাহী সদস্য এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্না,সহসাধারন সম্পাদক মো: রুহুল আমীন সোহাগ,এসএমএ রহিম,মো: আসলাম হোসেন প্রমুখস্মরকলিপিতে বলা হয়, দীর্ঘদিনের পথপরিক্রমায় সড়ক দুর্ঘটনারোধে আমরা যে বিষয়গুলো নিয়ে দাবী জানিয়ে আসছি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেশে নতুন সড়ক নিরাপত্তা আইন তৈরি ও তা বাস্তবায়ন করা। এর প্রেক্ষিতে আপনার উদ্যোগে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ প্রণীত হয়, জনগণের মধ্যে স্বস্থি ফেরত আসে কিন্তু এই আইনটি আপনার নির্দেশনা থাকা  সত্ত্বেও এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। কারণ আইনটির বিধিমালা প্রণয়ন হয়নি। দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর অতিক্রান্ত হলেও বিধিমালা প্রণীত হয়নি, যার ফলে মূলত আইনটি অকার্যকর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ কেউই কার্যকরী ভ‚মিকা রাখতে পারছে না। এছাড়া জাতিসংঘ ঘোষিত সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম ৫টি পিলার যথাক্রমে সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, ঝুঁকিমুক্ত যানবাহন, সচেতন সড়ক ব্যবহারকারী, সড়ক দুর্ঘটনায় পরবর্তী করণীয় ও গাড়ি চালনার উপযুক্ত পরিবেশ বাস্তবায়নের কার্যকর উদ্যোগ নেয়া যাচ্ছে না। কারণ সড়ক দুর্ঘটনার জন্য জাতিসংঘ ৫ অতি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। এই ৫টি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় হচ্ছে গতি, হেলমেট, সিটবেল্ট,  মদ্যপ অবস্থায় গাড়ী চালনা ও শিশু আসন । এই ৫টি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় নিশ্চিত ও বাস্তবায়ন করতে হলে আইনের যথাযথ প্রয়োগ অপরিহার্য। যেমন কোন রাস্তায় যানবাহন ধরন ভেদে কোন গাড়ির কত গতি হবে সে সম্পর্কে কোন উল্লেখ নেই। মোটরসাইকেল চালকদের প্রতি হেলমেট মেইনটেইন ও পরিধানের কোন নির্দেশনা না থাকায় শুধুমাত্র আইনের হাত থেকে বাঁচতে নি¤œমানের হেলমেট অহরহ ব্যবহারিত হচ্ছে। শুধু চালককে সিটবেল্ট ব্যবহারে নির্দেশনা থাকায় যাত্রীদের সিটবেল্ট পরিধানের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা না থাকায় জাতিসংঘের নির্দেশনাকে অমান্য করা হচ্ছে।  ডোপ টেস্টের সঠিক ব্যবহার ও মনিটরিং না থাকায় এখনও অনেক চালক মদ্যপ ও নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ী চালনা করছে এবং আমাদের দেশে শিশুদের জীবন রক্ষার্থে শিশু আসনের কোন বিধান সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-তে উল্লেখ নেই। বিআরটিএ কারিগরি সক্ষমতা বাড়াতে হবে, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ করে ট্রাফিক বিভাগের সাথে সংশ্লিষ্টদের উপযুক্ত ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা, চালক, মালিক, পথচারী ও যাত্রীদের আইন সম্পর্কে জানাতে প্রচার মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার ও সড়ক ব্যবহারকারী সকলকেই নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করে গড়ে তুলতে বিশেষ কর্মশালার গুরুত্ব রয়েছে। প্রতিটি বিষয় সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর জোরালো নির্দেশনার দাবি জানানো হয়।##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

সড়ক পরিবহন আইন বিধিমালা চুড়ান্ত অনুমোদনে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান

প্রকাশিত সময় : ০৭:১৯:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০২২

###   সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর বিধিমালা চুড়ান্তকরন অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বরাবর খুলনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা মহানগর শাখার উদ্যোগে ১০ অক্টোবর সোমবার বেলা ১১ টায় খুলনা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পুলক কুমার মন্ডলের নিকট স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়

সময় উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা মহানগর শাখার উপদেষ্টা শ্যামল সিংহ রায়, খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি কেন্দ্রিয় কমিটির কার্য্যনির্বাহী সদস্য এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্না,সহসাধারন সম্পাদক মো: রুহুল আমীন সোহাগ,এসএমএ রহিম,মো: আসলাম হোসেন প্রমুখস্মরকলিপিতে বলা হয়, দীর্ঘদিনের পথপরিক্রমায় সড়ক দুর্ঘটনারোধে আমরা যে বিষয়গুলো নিয়ে দাবী জানিয়ে আসছি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেশে নতুন সড়ক নিরাপত্তা আইন তৈরি ও তা বাস্তবায়ন করা। এর প্রেক্ষিতে আপনার উদ্যোগে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ প্রণীত হয়, জনগণের মধ্যে স্বস্থি ফেরত আসে কিন্তু এই আইনটি আপনার নির্দেশনা থাকা  সত্ত্বেও এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। কারণ আইনটির বিধিমালা প্রণয়ন হয়নি। দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর অতিক্রান্ত হলেও বিধিমালা প্রণীত হয়নি, যার ফলে মূলত আইনটি অকার্যকর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ কেউই কার্যকরী ভ‚মিকা রাখতে পারছে না। এছাড়া জাতিসংঘ ঘোষিত সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম ৫টি পিলার যথাক্রমে সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, ঝুঁকিমুক্ত যানবাহন, সচেতন সড়ক ব্যবহারকারী, সড়ক দুর্ঘটনায় পরবর্তী করণীয় ও গাড়ি চালনার উপযুক্ত পরিবেশ বাস্তবায়নের কার্যকর উদ্যোগ নেয়া যাচ্ছে না। কারণ সড়ক দুর্ঘটনার জন্য জাতিসংঘ ৫ অতি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। এই ৫টি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় হচ্ছে গতি, হেলমেট, সিটবেল্ট,  মদ্যপ অবস্থায় গাড়ী চালনা ও শিশু আসন । এই ৫টি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় নিশ্চিত ও বাস্তবায়ন করতে হলে আইনের যথাযথ প্রয়োগ অপরিহার্য। যেমন কোন রাস্তায় যানবাহন ধরন ভেদে কোন গাড়ির কত গতি হবে সে সম্পর্কে কোন উল্লেখ নেই। মোটরসাইকেল চালকদের প্রতি হেলমেট মেইনটেইন ও পরিধানের কোন নির্দেশনা না থাকায় শুধুমাত্র আইনের হাত থেকে বাঁচতে নি¤œমানের হেলমেট অহরহ ব্যবহারিত হচ্ছে। শুধু চালককে সিটবেল্ট ব্যবহারে নির্দেশনা থাকায় যাত্রীদের সিটবেল্ট পরিধানের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা না থাকায় জাতিসংঘের নির্দেশনাকে অমান্য করা হচ্ছে।  ডোপ টেস্টের সঠিক ব্যবহার ও মনিটরিং না থাকায় এখনও অনেক চালক মদ্যপ ও নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ী চালনা করছে এবং আমাদের দেশে শিশুদের জীবন রক্ষার্থে শিশু আসনের কোন বিধান সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-তে উল্লেখ নেই। বিআরটিএ কারিগরি সক্ষমতা বাড়াতে হবে, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ করে ট্রাফিক বিভাগের সাথে সংশ্লিষ্টদের উপযুক্ত ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা, চালক, মালিক, পথচারী ও যাত্রীদের আইন সম্পর্কে জানাতে প্রচার মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার ও সড়ক ব্যবহারকারী সকলকেই নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করে গড়ে তুলতে বিশেষ কর্মশালার গুরুত্ব রয়েছে। প্রতিটি বিষয় সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর জোরালো নির্দেশনার দাবি জানানো হয়।##