০১:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
খুলনায় বিভাগীয় রোডর্মাচ শেষে সমাবেশ :

হাসিনা সরকারের পতন হবেই-কেউ ঠেকাতে পারবে না : র্মিজা আব্বাস

####

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদ্য র্মিজা আব্বাস বলেছেন, এদেশের মানুষ তাদের অধিকার আদায় ও ভোটাধিকারের জন্য জেগে ‍উঠেছে। সারা দেশের মানুষ বিএনপিসহ বিরোধী দলের আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়েছে। এরমধ্য দিয়ে হাসিনা সরকারের পতন হবেই। এটা কেউ ঠেকাতে পারবে না। সরকারী অফিসার ও পুলিশের যারা হাসিনাকে সহায়তা করছেন তাদেরকে হুশিয়ারী করে তিনি বলেন, এখনও যারা সোজা পথে ও দেমের জনগনের সাথে আসেননি তাদেরকে চিহ্নিত করে রাখা হচ্ছে। পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইনশাল্রাহ একদফার দাবী বিজয়ের মধ্য দিয়ে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে ও দেশকেও আওয়ামীলীগের রাহুর গ্রাস থেকে মুক্ত করবোই। তিনি আরও বলেন, আমেরিকাসহ ৮০টি দেশের স্যাংকশান খেয়ে সরকারের মন্ত্রীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা বলছেন, স্যাংকশান মানি না র্নিবাচন করবোই। র্মিজা আব্বাস বলেন, র্নিবাচন আমরাও করবো। অবশ্যই র্নিবাচন হবে। তবে তা হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া অন্য সবক্ষেত্রেই শেখ হাসিনাকে ছাড় দেয়া হবে বলেও তিনি ‍উল্লেখ করেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটায় খুলনার শিববাড়ি মোড়ে বিভাগীয় রোডর্মাচ শেষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাড, শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন  জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও বরকতউল্লাহ বুলু, ভাইসচেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, ও শামসুজ্জামান দুদু, খুলনা বিভাঘীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেহেদী হাসান রুমি, বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, শেখ সোহরাব উদ্দিন, আসাদুজ্জামান আসাদ, ডঃ ওবায়দুল ইসলাম, কৃষি বীজ শামীমুর রহমান শামীম, মাহমুদ হাসান খান বাবু, অমলেন্দু দাস অপু,আমিরুজ্জামান খান শিমুল, আবু হোসেন বাবু, মনিরুল হাসান বাপ্পি, আমির এজাজ খান, স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারন সম্পাদক এস.এম.জিলানী, ছাত্রদলের বারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারন সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।

এরআগে খুলনা বিভাগীয় রোড র্মাচ এদিন সকালে ঝিনাইদহ থেকে শুরু হয়ে যশোর, নোয়াপাড়া, ফলতলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে রাত ৯টায় রোডর্মাচ খুলনায় এসে পৌছায়। রোডর্মাচ শেষে খুলনায় সমাপনী সমাবেশ উপলক্ষ্যে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইলসহ আশেপাশের জেলা ও উপজেলা থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতার্কমীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থালে আসে। বিকেল চারটা থেকে সমাবেশস্থলে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থার শিল্পীদের গান শুরু হয়। রাত সাড়ে আটটায় আনুষ্টানিকবাবে সমাবেশের কাজ শুরু হয়।

খুলনার রোডমার্চ শেষের সমাবেশে সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও সাবেক সিটি মেয়র মো: মনিরুজ্জামান মনির নেতৃত্বে বিশাল মিছিল সমাবেশ স্থলে ও রোডর্মাচে অংশ নেয়। তবে তাদের কাউকেই সমাবেশের ষ্টেজে ও বক্তৃতা দিতে দেয়া হয়নি। তারা সমাবেশস্থলের পাশে অবস্থান করে পরে সমাবেশ স্থল ত্যাগ করেন। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা দু’গ্রুপের হাতাহাতিতে ভন্ডুল

খুলনায় বিভাগীয় রোডর্মাচ শেষে সমাবেশ :

হাসিনা সরকারের পতন হবেই-কেউ ঠেকাতে পারবে না : র্মিজা আব্বাস

প্রকাশিত সময় : ০১:৩৭:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

####

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদ্য র্মিজা আব্বাস বলেছেন, এদেশের মানুষ তাদের অধিকার আদায় ও ভোটাধিকারের জন্য জেগে ‍উঠেছে। সারা দেশের মানুষ বিএনপিসহ বিরোধী দলের আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়েছে। এরমধ্য দিয়ে হাসিনা সরকারের পতন হবেই। এটা কেউ ঠেকাতে পারবে না। সরকারী অফিসার ও পুলিশের যারা হাসিনাকে সহায়তা করছেন তাদেরকে হুশিয়ারী করে তিনি বলেন, এখনও যারা সোজা পথে ও দেমের জনগনের সাথে আসেননি তাদেরকে চিহ্নিত করে রাখা হচ্ছে। পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইনশাল্রাহ একদফার দাবী বিজয়ের মধ্য দিয়ে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে ও দেশকেও আওয়ামীলীগের রাহুর গ্রাস থেকে মুক্ত করবোই। তিনি আরও বলেন, আমেরিকাসহ ৮০টি দেশের স্যাংকশান খেয়ে সরকারের মন্ত্রীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা বলছেন, স্যাংকশান মানি না র্নিবাচন করবোই। র্মিজা আব্বাস বলেন, র্নিবাচন আমরাও করবো। অবশ্যই র্নিবাচন হবে। তবে তা হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া অন্য সবক্ষেত্রেই শেখ হাসিনাকে ছাড় দেয়া হবে বলেও তিনি ‍উল্লেখ করেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটায় খুলনার শিববাড়ি মোড়ে বিভাগীয় রোডর্মাচ শেষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাড, শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন  জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও বরকতউল্লাহ বুলু, ভাইসচেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, ও শামসুজ্জামান দুদু, খুলনা বিভাঘীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেহেদী হাসান রুমি, বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, শেখ সোহরাব উদ্দিন, আসাদুজ্জামান আসাদ, ডঃ ওবায়দুল ইসলাম, কৃষি বীজ শামীমুর রহমান শামীম, মাহমুদ হাসান খান বাবু, অমলেন্দু দাস অপু,আমিরুজ্জামান খান শিমুল, আবু হোসেন বাবু, মনিরুল হাসান বাপ্পি, আমির এজাজ খান, স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারন সম্পাদক এস.এম.জিলানী, ছাত্রদলের বারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারন সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।

এরআগে খুলনা বিভাগীয় রোড র্মাচ এদিন সকালে ঝিনাইদহ থেকে শুরু হয়ে যশোর, নোয়াপাড়া, ফলতলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে রাত ৯টায় রোডর্মাচ খুলনায় এসে পৌছায়। রোডর্মাচ শেষে খুলনায় সমাপনী সমাবেশ উপলক্ষ্যে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইলসহ আশেপাশের জেলা ও উপজেলা থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতার্কমীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থালে আসে। বিকেল চারটা থেকে সমাবেশস্থলে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থার শিল্পীদের গান শুরু হয়। রাত সাড়ে আটটায় আনুষ্টানিকবাবে সমাবেশের কাজ শুরু হয়।

খুলনার রোডমার্চ শেষের সমাবেশে সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও সাবেক সিটি মেয়র মো: মনিরুজ্জামান মনির নেতৃত্বে বিশাল মিছিল সমাবেশ স্থলে ও রোডর্মাচে অংশ নেয়। তবে তাদের কাউকেই সমাবেশের ষ্টেজে ও বক্তৃতা দিতে দেয়া হয়নি। তারা সমাবেশস্থলের পাশে অবস্থান করে পরে সমাবেশ স্থল ত্যাগ করেন। ##