০৪:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০ জন কে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে বন বিভাগ

  • সংবাদদাতা
  • প্রকাশিত সময় : ০৫:০৪:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩
  • ৯৬ পড়েছেন

 

মোংলা প্রতিনিধি:

বন বিভাগের অফিসে হামলা, ভাংচুর ও গ্রেফতারকৃত আসামীদের ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় অবৈধ ভাবে কাঁকড়া আহরনকারী ২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে সুন্দরবন পুর্ব বন বিভাগ।

বৃহস্পতিবার(২৩ নভেম্বর) গভীর রাতে চাঁদপাই রেঞ্জের ষ্টেশন কর্মকর্তা মো: মহসিন বাদি হয়ে মোংলা থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করেন।

লিখিত এজাহার পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে মোংলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার জানান, ফরেষ্ট অফিসে হামলা, ভাংচুর ও আটককৃত আসামীদের ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় মোংলা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

দাখিলকৃত এজাহার সুত্রে জানাযায়,পুর্ব সুন্দরবনের বিভিন্ন খাল থেকে অবৈধ পন্থায় চারো (বাশের তৈরী চাই) পেতে কাকড়া আহরণ করে ফরেষ্ট অফিসে পাশপারমিট জমা না করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পাচার হচ্ছে এমন গোপন খবর আসে বন রক্ষিদের কাছে। ২১ নভেম্বর ভোরে পশুর নদীতে অভিযান চালিয়ে ৭১ ক্যারেট কাকড়া বোঝাই একটি ট্রলার, ৫টি নৌকা সহ এর সাথে জড়িত ২৫ জেলেকে আটক করে বন বিভাগ। পরে ২১ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বন বিভাগের অফিসে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে ১৯ জেলেকে ছিনিয়ে নেয় পাচারকারীরা। এঘটনায় ২২ নভেম্বর গভীর রাতে ফরেষ্ট ষ্টেশন অফিসে হামলা, ভাংচুর ও আসামী ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে তুলে মোংলা উপজেলার সোনাইলতলা উলুবুনিয়া গ্রামের মৃত এজাহার গাজীর ছেলে মুল পাচারকারী ইসমাইল হোসেন লিটন গাজীকে প্রধান করে ২০ জনের বিরুদ্ধে মোংলা থানায় এজাহার দাখিল করে বন বিভাগের চাদঁপাই ষ্টেশন কর্মকর্তা শেখ মোঃ আনিছুর রহমান।

এদিকে মামলা দায়েরের আগে বৃহস্পতিবার বিকালে জয়মনি ফরেষ্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় তদন্তে যায় মোংলা থানা পুলিশের একটি দল। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মামলাটি রুজু করা হয়।

এদিকে একটি সুত্র বলছে, স্থানীয় একটি রাজনৈতিক প্রভাবশালী গ্রুপের সমর্থনে ইসমাইল হোসেন ওরফে লিটন গাজী সহ আরো কয়েকন চোরাকারবারী দির্ঘ দিন সুন্দরবনের নিষিদ্ধ খাল গুলো থেকে মাছ ও কাকড়া আহরন করে আসছে। তাদের ওইসব বন কেন্দ্রিক অপতৎপরতা বন্ধে অসহায় হয়ে পড়েছে বন বিভাগ। ##

 

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

dainik madhumati

জনপ্রিয়

কেএমপি’র ০২ পুলিশ সদস্য জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত

২০ জন কে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে বন বিভাগ

প্রকাশিত সময় : ০৫:০৪:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩

 

মোংলা প্রতিনিধি:

বন বিভাগের অফিসে হামলা, ভাংচুর ও গ্রেফতারকৃত আসামীদের ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় অবৈধ ভাবে কাঁকড়া আহরনকারী ২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে সুন্দরবন পুর্ব বন বিভাগ।

বৃহস্পতিবার(২৩ নভেম্বর) গভীর রাতে চাঁদপাই রেঞ্জের ষ্টেশন কর্মকর্তা মো: মহসিন বাদি হয়ে মোংলা থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করেন।

লিখিত এজাহার পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে মোংলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার জানান, ফরেষ্ট অফিসে হামলা, ভাংচুর ও আটককৃত আসামীদের ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় মোংলা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

দাখিলকৃত এজাহার সুত্রে জানাযায়,পুর্ব সুন্দরবনের বিভিন্ন খাল থেকে অবৈধ পন্থায় চারো (বাশের তৈরী চাই) পেতে কাকড়া আহরণ করে ফরেষ্ট অফিসে পাশপারমিট জমা না করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পাচার হচ্ছে এমন গোপন খবর আসে বন রক্ষিদের কাছে। ২১ নভেম্বর ভোরে পশুর নদীতে অভিযান চালিয়ে ৭১ ক্যারেট কাকড়া বোঝাই একটি ট্রলার, ৫টি নৌকা সহ এর সাথে জড়িত ২৫ জেলেকে আটক করে বন বিভাগ। পরে ২১ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বন বিভাগের অফিসে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে ১৯ জেলেকে ছিনিয়ে নেয় পাচারকারীরা। এঘটনায় ২২ নভেম্বর গভীর রাতে ফরেষ্ট ষ্টেশন অফিসে হামলা, ভাংচুর ও আসামী ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে তুলে মোংলা উপজেলার সোনাইলতলা উলুবুনিয়া গ্রামের মৃত এজাহার গাজীর ছেলে মুল পাচারকারী ইসমাইল হোসেন লিটন গাজীকে প্রধান করে ২০ জনের বিরুদ্ধে মোংলা থানায় এজাহার দাখিল করে বন বিভাগের চাদঁপাই ষ্টেশন কর্মকর্তা শেখ মোঃ আনিছুর রহমান।

এদিকে মামলা দায়েরের আগে বৃহস্পতিবার বিকালে জয়মনি ফরেষ্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় তদন্তে যায় মোংলা থানা পুলিশের একটি দল। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মামলাটি রুজু করা হয়।

এদিকে একটি সুত্র বলছে, স্থানীয় একটি রাজনৈতিক প্রভাবশালী গ্রুপের সমর্থনে ইসমাইল হোসেন ওরফে লিটন গাজী সহ আরো কয়েকন চোরাকারবারী দির্ঘ দিন সুন্দরবনের নিষিদ্ধ খাল গুলো থেকে মাছ ও কাকড়া আহরন করে আসছে। তাদের ওইসব বন কেন্দ্রিক অপতৎপরতা বন্ধে অসহায় হয়ে পড়েছে বন বিভাগ। ##