০৯:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন-২০২৪ :

খুলনায় নির্বাচনে থাকলেও মাঠে নেই ১৬প্রার্থী, ৬টি আসনের তিনটিতে স্বতন্ত্রে অস্বস্তিতে নৌকা

####

খুলনায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জেলার ৬টি আসনে আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মোট ৩৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ভোট গ্রহনের আর মাত্র ১০দিন বাকী থাকলেও শুধুমাত্র খুলনার ৬টি আসনের আওয়ামীলীগের নৌকার ৬প্রার্থী ও ৩টি আসনে আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছে। এছাড়া আরও কিছু দলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রচার-প্রচারনায় দেখা গেছে। তবে নির্বাচনে থাকলেও মাঠের প্রচারনায় নেই বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র ১৬প্রার্থী। প্রচারনায় না থাকা প্রার্থীদের মধ্যে জেলার ৬টি আসনেই জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা অন্যতম। নির্বাচনে থাকলেও তারা এখনও তেমন কোন প্রচারনায় নামেনি। বারবার যোগাযোগ করেও নেতাকর্মীদের ভোটের প্রচারণায় মাঠে নামাতে পারছেন না জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। এর বাইরে বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বিএনএম ও স্বতন্ত্রসহ আরও ১০ জন প্রার্থী মাঠে নেই। নানান কারণে প্রচারণায় নামছেন না প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা। ফলে জেলা ৬টি আসনের মধ্যে তিনটিতে তেমন কোন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আওয়ামীলীগের নৌকার প্রার্থী একেবারেই নির্ভার হয়েই প্রচার-প্রচারনা চালাচ্ছেন। তবে অপর তিনটিতে শক্ত তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকায় বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা। এরমধ্যে খুলনা-১, খুলনা-২ ও খুলনা-৩ আসনে নৌকার প্রার্থীরা বেশ খোস মেজাজেই প্রচারণায় রয়েছেন। অন্যদিকে, খুলনা-৪, খুলনা-৫ ও খুলনা-৬ আসনে দলীয় স্বতন্ত্র শক্ত প্রার্থী থাকায় নৌকার তিন প্রার্থী বেশ চাপে পড়েছেন।

জানা গেছে, খুলনা-১ আসনে (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) মোট চারজন প্রার্থী রয়েছে। এ আসনে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী শক্ত তেমন কোন প্রার্থী না থাকায় বেশ খোসমেজাজেই পোস্টার লিফলেট বিতরন, পথসভা ও গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ননী গোপাল মণ্ডল। এছাড়া আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক অতিরিক্ত সচিব স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রশান্ত কুমার রায় ঈগল প্রতিক নিয়ে মাঠে রয়েছেন। তবে তার সাথে দলের নেতাকর্মীরা তেমন কেউ না থাকায় তিনি জোরালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারছেন না। এর বাইরে তৃণমূল বিএনপির গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিকের ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীকে ভোট চেয়ে নামমাত্র মাইকিং করা হচ্ছে। তবে জাতীয় পার্টির কাজী হাসানুর রশিদ লাঙ্গল প্রতিকের এখনও প্রচারণা শুরু করেননি।

খুলনা-২ আসনে (সদর-সোনাডাঙ্গা) ৬জন প্রার্থী থাকলেও আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী দলীয় সবানেত্রী প্রধানমন্ত্রীল চাচাতো ভাই সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের পক্ষে নৌকার একক প্রচারণা চলছে দিনরাত। দলের পুরো টিম তার জন্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এ আসনের অলিগলি সবখানেই শেখ জুয়েলের পোষ্টার, লিফলেট, ব্যানারসহ নৌকার প্রচারণা দৃশ্যমান। তবে জাতীয় পার্টির মোঃ গাউসুল আজম লাঙ্গল, বাংলাদেশ কংগ্রেসের দেবদাস সরকার ডাব, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের বাবু কুমার রায় ছড়ি, বিএনএম প্রার্থী মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন নোঙর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাঈদুর রহমান ঈগল প্রচারণা শুরু করেননি। যদিও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী বাবু কুমার রায় গত মঙ্গলবার খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। তিনিও মাঠের প্রচারণা নামেননি।

খুলনা-৩ আসনে (দৌলতপুর-খালিশপুর-খানজাহান আলী) ৪জন প্রার্থী রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এ আসনে একমাত্র আওয়ামী লীগের প্রার্থী এসএম কামাল হোসেন পুরো এলাকায় ঝড়ের গতিতে প্রচার-প্রচারনা চালাচ্ছেন দিনরাত। এ আসনের চারবারের সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান মনোনয়ন না পাওয়ায় দলের নেতার্মীরা প্রথম দিকে নৌকার প্রচারনা থেকে দুরে ছিলেন। তবে নৌকার প্রার্থী কামাল হোসেনের একান্ত প্রচেষ্টায় সে সংকট কাটিয়ে উঠে সবাইকে মাঠে নামাতে সক্ষম হয়েছেন। এ আসনের সবখানেই পোষ্টার, লিফলেট, ব্যানারসহ নৌকার প্রচারণা দৃশ্যমান। এছাড়া জাকের পার্টির এসএম সাব্বির হোসেন হোসেন গোলাপ ফুল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেত্রী ফাতেমা জামান সাথী ঈগল প্রতিকের কিছু পোষ্টার লাগিয়েছেন এলাকার কিছু কিছু জায়গায়। তারা অনিয়মিতভাবে মাঝেমধ্যে গণসংযোগও করছেন। এদিকে, জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন লাঙল প্রতিকের প্রচারনা আগে মুরু করেননি। তিনি মঙ্গলবার(২৬ডিসেম্বর) নেতাকর্মীদের নিয়ে প্লাটিনাম গেট থেকে প্রচারণা শুরু করেছেন। তবে তার প্রাচার-প্রচারণা তেমন দৃশ্যমান নয়।

খুলনা-৪ আসনে (রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া) জেরার ৬টি আসনের ম্যেধ সবচেয়ে বেশী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। তবে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস সালাম মূর্শেদী নৌকার প্রচার-প্রচারনায় এগিয়ে রয়েছেন। এ আসনে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভক্তি থাকায় তিনি প্রচারণায় আলোড়ন তুলতে পারেননি। এ আসনে দলের বেশীরবাগ নেতাকর্মীরা রয়েছেন প্রয়াত: সাবেক সংসদ সদস্য খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এসএম মোস্তফা রশিদী সুজার ভাই এসএম মোর্ত্তজা রশিদী দারার পক্ষে। তিনি কেটলি প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান সোনালী আঁশ, বিএনএম প্রার্থী এস.এম আজমল হোসেন নোঙর, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ জুয়েল রানা ট্রাক, এমডি এহসানুল হক সোফা, মোঃ রেজভী আলম ঈগল প্রতিক নিয়ে সামান্য প্রচারণায় রয়েছেন।

তবে এই আসনে এখনও জাতীয় পার্টির ফরহাদ হোসেন লাঙল, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনিরা সুলতানা ডাব, এনপিপির মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান আম, ইসলামী ঐক্যজোটের রিয়াজ উদ্দীন খান মিনার, স্বতন্ত্র এইমএম রওশন জামির এখনও প্রচারণায় দৃশ্যমান নয়।

খুলনা-৫ আসনে (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) চারজন প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির মোঃ শাহীদ আলম ছাড়া বাকি সকলেই কমবেশী প্রচারণায় রয়েছেন। এরমধ্যে আওয়ামীলীগের নারায়ণ চন্দ্র চন্দ নৌকা প্রতিকের পক্ষে দলের নেতাকর্মীরা সরব রয়েছেন। তিনিও দুই উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের সব জায়গায় গনসংযোগ, পথসভা, লিফলেট বিতরণ ও জনসভার মধ্য দিয়ে প্রচারনায় এগিয়ে রয়েছেন। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ সেলিম আকতার হাতুড়ি ও স্বতন্ত্র শেখ আকরাম হোসেন ঈগল প্রতিক নিয়ে প্রচারণায় রয়েছেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন ফুলতলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হওয়ায় দলের বেশকিছু নেতারা তার পক্ষে প্রচারণায় রয়েছেন।

খুলনা-৬ আসনে(কয়রা-পাইকগাছা) ৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের মোঃ রশীদুজ্জামান নৌকা প্রতিক নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি দলের নেতাকর্মী ও ভোটারদের সমর্থন পেতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। তবে কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম ও স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং তার অনুসারীরা নৌকার প্রার্থীর বিরোধীতা করায় তেমন সুবিধা করতে পারছেন না নৌকার প্রার্থী মো: রশিদুজ্জামান মোড়ল। এ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিএম মাহবুবুল আলম ঈগল প্রতিক নিয়ে সবোর্চ্চ প্রচার-প্রচারণায় রয়েছেন। তার পক্ষে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ আওয়ামীলীগের একটি অংশ সমর্থন দেওয়ায় তিনি শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছেন। এছাড়া বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মির্জা গোলাম আজম ডাব, বিএনএম প্রার্থী এসএম নেওয়াজ মোরশেদ নোঙর প্রতিক নিয়ে প্রচারণায় রয়েছেন। তবে এনপিপির মোঃ আবু সুফিয়ান আম, তৃণমূল বিএনপির মোঃ নাদির উদ্দিন খান সোনালী আঁশ প্রতিক পেলেও প্রচারণা শুরু করেননি।

এ আসনে নৌকার প্রধান প্রতিদ্বন্দি ছিলেন জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু । তিনি লাঙ্গল প্রতিক নিয়ে এখনও প্রচার-প্রচারনা শুরু করেননি। তবে তিনি কিছু পোষ্টার টাঙ্গিয়েছেন এবং সোসাল মিডিয়ায় প্রচারনায় রয়েছেন। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন-২০২৪ :

খুলনায় নির্বাচনে থাকলেও মাঠে নেই ১৬প্রার্থী, ৬টি আসনের তিনটিতে স্বতন্ত্রে অস্বস্তিতে নৌকা

প্রকাশিত সময় : ০৭:৪৩:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

####

খুলনায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জেলার ৬টি আসনে আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মোট ৩৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ভোট গ্রহনের আর মাত্র ১০দিন বাকী থাকলেও শুধুমাত্র খুলনার ৬টি আসনের আওয়ামীলীগের নৌকার ৬প্রার্থী ও ৩টি আসনে আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছে। এছাড়া আরও কিছু দলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রচার-প্রচারনায় দেখা গেছে। তবে নির্বাচনে থাকলেও মাঠের প্রচারনায় নেই বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র ১৬প্রার্থী। প্রচারনায় না থাকা প্রার্থীদের মধ্যে জেলার ৬টি আসনেই জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা অন্যতম। নির্বাচনে থাকলেও তারা এখনও তেমন কোন প্রচারনায় নামেনি। বারবার যোগাযোগ করেও নেতাকর্মীদের ভোটের প্রচারণায় মাঠে নামাতে পারছেন না জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। এর বাইরে বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বিএনএম ও স্বতন্ত্রসহ আরও ১০ জন প্রার্থী মাঠে নেই। নানান কারণে প্রচারণায় নামছেন না প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা। ফলে জেলা ৬টি আসনের মধ্যে তিনটিতে তেমন কোন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আওয়ামীলীগের নৌকার প্রার্থী একেবারেই নির্ভার হয়েই প্রচার-প্রচারনা চালাচ্ছেন। তবে অপর তিনটিতে শক্ত তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকায় বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা। এরমধ্যে খুলনা-১, খুলনা-২ ও খুলনা-৩ আসনে নৌকার প্রার্থীরা বেশ খোস মেজাজেই প্রচারণায় রয়েছেন। অন্যদিকে, খুলনা-৪, খুলনা-৫ ও খুলনা-৬ আসনে দলীয় স্বতন্ত্র শক্ত প্রার্থী থাকায় নৌকার তিন প্রার্থী বেশ চাপে পড়েছেন।

জানা গেছে, খুলনা-১ আসনে (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) মোট চারজন প্রার্থী রয়েছে। এ আসনে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী শক্ত তেমন কোন প্রার্থী না থাকায় বেশ খোসমেজাজেই পোস্টার লিফলেট বিতরন, পথসভা ও গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ননী গোপাল মণ্ডল। এছাড়া আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক অতিরিক্ত সচিব স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রশান্ত কুমার রায় ঈগল প্রতিক নিয়ে মাঠে রয়েছেন। তবে তার সাথে দলের নেতাকর্মীরা তেমন কেউ না থাকায় তিনি জোরালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারছেন না। এর বাইরে তৃণমূল বিএনপির গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিকের ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীকে ভোট চেয়ে নামমাত্র মাইকিং করা হচ্ছে। তবে জাতীয় পার্টির কাজী হাসানুর রশিদ লাঙ্গল প্রতিকের এখনও প্রচারণা শুরু করেননি।

খুলনা-২ আসনে (সদর-সোনাডাঙ্গা) ৬জন প্রার্থী থাকলেও আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী দলীয় সবানেত্রী প্রধানমন্ত্রীল চাচাতো ভাই সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের পক্ষে নৌকার একক প্রচারণা চলছে দিনরাত। দলের পুরো টিম তার জন্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এ আসনের অলিগলি সবখানেই শেখ জুয়েলের পোষ্টার, লিফলেট, ব্যানারসহ নৌকার প্রচারণা দৃশ্যমান। তবে জাতীয় পার্টির মোঃ গাউসুল আজম লাঙ্গল, বাংলাদেশ কংগ্রেসের দেবদাস সরকার ডাব, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের বাবু কুমার রায় ছড়ি, বিএনএম প্রার্থী মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন নোঙর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাঈদুর রহমান ঈগল প্রচারণা শুরু করেননি। যদিও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী বাবু কুমার রায় গত মঙ্গলবার খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। তিনিও মাঠের প্রচারণা নামেননি।

খুলনা-৩ আসনে (দৌলতপুর-খালিশপুর-খানজাহান আলী) ৪জন প্রার্থী রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এ আসনে একমাত্র আওয়ামী লীগের প্রার্থী এসএম কামাল হোসেন পুরো এলাকায় ঝড়ের গতিতে প্রচার-প্রচারনা চালাচ্ছেন দিনরাত। এ আসনের চারবারের সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান মনোনয়ন না পাওয়ায় দলের নেতার্মীরা প্রথম দিকে নৌকার প্রচারনা থেকে দুরে ছিলেন। তবে নৌকার প্রার্থী কামাল হোসেনের একান্ত প্রচেষ্টায় সে সংকট কাটিয়ে উঠে সবাইকে মাঠে নামাতে সক্ষম হয়েছেন। এ আসনের সবখানেই পোষ্টার, লিফলেট, ব্যানারসহ নৌকার প্রচারণা দৃশ্যমান। এছাড়া জাকের পার্টির এসএম সাব্বির হোসেন হোসেন গোলাপ ফুল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেত্রী ফাতেমা জামান সাথী ঈগল প্রতিকের কিছু পোষ্টার লাগিয়েছেন এলাকার কিছু কিছু জায়গায়। তারা অনিয়মিতভাবে মাঝেমধ্যে গণসংযোগও করছেন। এদিকে, জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন লাঙল প্রতিকের প্রচারনা আগে মুরু করেননি। তিনি মঙ্গলবার(২৬ডিসেম্বর) নেতাকর্মীদের নিয়ে প্লাটিনাম গেট থেকে প্রচারণা শুরু করেছেন। তবে তার প্রাচার-প্রচারণা তেমন দৃশ্যমান নয়।

খুলনা-৪ আসনে (রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া) জেরার ৬টি আসনের ম্যেধ সবচেয়ে বেশী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। তবে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস সালাম মূর্শেদী নৌকার প্রচার-প্রচারনায় এগিয়ে রয়েছেন। এ আসনে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভক্তি থাকায় তিনি প্রচারণায় আলোড়ন তুলতে পারেননি। এ আসনে দলের বেশীরবাগ নেতাকর্মীরা রয়েছেন প্রয়াত: সাবেক সংসদ সদস্য খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এসএম মোস্তফা রশিদী সুজার ভাই এসএম মোর্ত্তজা রশিদী দারার পক্ষে। তিনি কেটলি প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান সোনালী আঁশ, বিএনএম প্রার্থী এস.এম আজমল হোসেন নোঙর, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ জুয়েল রানা ট্রাক, এমডি এহসানুল হক সোফা, মোঃ রেজভী আলম ঈগল প্রতিক নিয়ে সামান্য প্রচারণায় রয়েছেন।

তবে এই আসনে এখনও জাতীয় পার্টির ফরহাদ হোসেন লাঙল, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনিরা সুলতানা ডাব, এনপিপির মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান আম, ইসলামী ঐক্যজোটের রিয়াজ উদ্দীন খান মিনার, স্বতন্ত্র এইমএম রওশন জামির এখনও প্রচারণায় দৃশ্যমান নয়।

খুলনা-৫ আসনে (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) চারজন প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির মোঃ শাহীদ আলম ছাড়া বাকি সকলেই কমবেশী প্রচারণায় রয়েছেন। এরমধ্যে আওয়ামীলীগের নারায়ণ চন্দ্র চন্দ নৌকা প্রতিকের পক্ষে দলের নেতাকর্মীরা সরব রয়েছেন। তিনিও দুই উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের সব জায়গায় গনসংযোগ, পথসভা, লিফলেট বিতরণ ও জনসভার মধ্য দিয়ে প্রচারনায় এগিয়ে রয়েছেন। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ সেলিম আকতার হাতুড়ি ও স্বতন্ত্র শেখ আকরাম হোসেন ঈগল প্রতিক নিয়ে প্রচারণায় রয়েছেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন ফুলতলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হওয়ায় দলের বেশকিছু নেতারা তার পক্ষে প্রচারণায় রয়েছেন।

খুলনা-৬ আসনে(কয়রা-পাইকগাছা) ৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের মোঃ রশীদুজ্জামান নৌকা প্রতিক নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি দলের নেতাকর্মী ও ভোটারদের সমর্থন পেতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। তবে কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম ও স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং তার অনুসারীরা নৌকার প্রার্থীর বিরোধীতা করায় তেমন সুবিধা করতে পারছেন না নৌকার প্রার্থী মো: রশিদুজ্জামান মোড়ল। এ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিএম মাহবুবুল আলম ঈগল প্রতিক নিয়ে সবোর্চ্চ প্রচার-প্রচারণায় রয়েছেন। তার পক্ষে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ আওয়ামীলীগের একটি অংশ সমর্থন দেওয়ায় তিনি শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছেন। এছাড়া বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মির্জা গোলাম আজম ডাব, বিএনএম প্রার্থী এসএম নেওয়াজ মোরশেদ নোঙর প্রতিক নিয়ে প্রচারণায় রয়েছেন। তবে এনপিপির মোঃ আবু সুফিয়ান আম, তৃণমূল বিএনপির মোঃ নাদির উদ্দিন খান সোনালী আঁশ প্রতিক পেলেও প্রচারণা শুরু করেননি।

এ আসনে নৌকার প্রধান প্রতিদ্বন্দি ছিলেন জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু । তিনি লাঙ্গল প্রতিক নিয়ে এখনও প্রচার-প্রচারনা শুরু করেননি। তবে তিনি কিছু পোষ্টার টাঙ্গিয়েছেন এবং সোসাল মিডিয়ায় প্রচারনায় রয়েছেন। ##