০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

####

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বরের থান্দার পাড়ার কবরস্থান থেকে উদ্ধারকৃত বস্তাবন্দি মরদেহের রহস্য উন্মোচন করেছে পুঠিয়া থানা পুলিশ। হত্যার শিকার বেদেনা বেওয়া (৬০) এর ছেলের বৌরয়ের সাথে পারিবারিক কলহের কারণে তাকে হত্যার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুর রহমান। এ হত্যাকান্ডে ঘটনায় নিহত বেদেনা বেওয়ার ছেলের বৌ কনিকা (২৯) ও নাতনি কথা খাতুন (১৪) কে আটক করেছে পুলিশ। পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুর রহমান জানান, গত বুধবার (৯ এপ্রিল) পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের থান্দারপাড়া গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে বস্তাবন্দি এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্বার করা হয়। তার গলায় কাটা চিহ্ন এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম ছিল। এছাড়াও মুখে স্কচটেপ জড়ানো ছিল। পরে নিখোঁজ বেদেনার পরিবার তার পরিচয় শনাক্ত করে। বেদেনার মরদেহ উদ্ধারের পর তার ছেলে রিপন আলী বাদি হয়ে পুঠিয়া থানার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুঠিয়া থানা পুলিশ ও পিবিআই রাজশাহী জেলার একটি টিম মামলা গ্রহনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নিহত বেদেনার ছেলের বৌ কনিকা ও নাতনি কথা খাতুনকে গ্রেফতার করে। তদন্তে জানাযায়, বেদেনা বেওয়ার স্বামী মারা যায়ও পর তিনি তার স্বামীর ভিটায় তার ছেলে দ্বিতীয় বিয়ে করায় ছেলের প্রথম স্ত্রীর ছেলে হিমু ও মেয়ের দ্বিতীয় বিয়ে হওয়া মেয়ে প্রথম স্বামীর মেয়ে কথা খাতুনকে নিয়ে বসবাস করতেন। বেদেনা বেওয়া বানেশ্বর বাজারের ডাক্তার মিজানের বাড়িতে কাজ করে দুপুরের খাবার নিয়ে বাড়ি ফিরতেন। তার ছেলের দ্বিতীয় স্ত্রী কনিকার সাথে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় বেদেনা বেওয়া নিজের মত করে চলতেন। গত শুক্রবার বেদেনার ছেলের বৌ কনিকা সন্ধ্যায় ইফতারের সময় সরবতে সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে কথা খাতুনের মাধ্যমে বেদেনাকে খাইয়ে দেয়। সরবত খাওয়ার পর বেদেনা বেওয়া ঘুমিয়ে পরলে কনিকা ও তার অপর এক সহযোগির মাধ্যেমে বেদেনা বেওয়া দুই হাত খাটের সাথে ওড়না দিয়ে বেধে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। পরে অপর সহযোগির মাধ্যমে বেদেনার মরদেহ বস্তাবন্দি করে বাড়ির পাশের কবরস্থানে ফেলে দেয়। শুক্রবার দুপুরের পর মরদেহের দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা কবরস্থানে গিয়ে বস্তাবন্দী মরদেহ দেখতে পান। সেসময় পুঠিয়া থানা পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুর রহমান জানান, হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। আটকৃতরা আদালতে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। অপর সহযোগিকে আটকের চেষ্টা চলতে চলে এ কর্মকর্তা জানান। #

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কেএমপি’র ০২ পুলিশ সদস্য জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত

প্রকাশিত সময় : ০৯:৪৮:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

####

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বরের থান্দার পাড়ার কবরস্থান থেকে উদ্ধারকৃত বস্তাবন্দি মরদেহের রহস্য উন্মোচন করেছে পুঠিয়া থানা পুলিশ। হত্যার শিকার বেদেনা বেওয়া (৬০) এর ছেলের বৌরয়ের সাথে পারিবারিক কলহের কারণে তাকে হত্যার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুর রহমান। এ হত্যাকান্ডে ঘটনায় নিহত বেদেনা বেওয়ার ছেলের বৌ কনিকা (২৯) ও নাতনি কথা খাতুন (১৪) কে আটক করেছে পুলিশ। পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুর রহমান জানান, গত বুধবার (৯ এপ্রিল) পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের থান্দারপাড়া গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে বস্তাবন্দি এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্বার করা হয়। তার গলায় কাটা চিহ্ন এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম ছিল। এছাড়াও মুখে স্কচটেপ জড়ানো ছিল। পরে নিখোঁজ বেদেনার পরিবার তার পরিচয় শনাক্ত করে। বেদেনার মরদেহ উদ্ধারের পর তার ছেলে রিপন আলী বাদি হয়ে পুঠিয়া থানার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুঠিয়া থানা পুলিশ ও পিবিআই রাজশাহী জেলার একটি টিম মামলা গ্রহনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নিহত বেদেনার ছেলের বৌ কনিকা ও নাতনি কথা খাতুনকে গ্রেফতার করে। তদন্তে জানাযায়, বেদেনা বেওয়ার স্বামী মারা যায়ও পর তিনি তার স্বামীর ভিটায় তার ছেলে দ্বিতীয় বিয়ে করায় ছেলের প্রথম স্ত্রীর ছেলে হিমু ও মেয়ের দ্বিতীয় বিয়ে হওয়া মেয়ে প্রথম স্বামীর মেয়ে কথা খাতুনকে নিয়ে বসবাস করতেন। বেদেনা বেওয়া বানেশ্বর বাজারের ডাক্তার মিজানের বাড়িতে কাজ করে দুপুরের খাবার নিয়ে বাড়ি ফিরতেন। তার ছেলের দ্বিতীয় স্ত্রী কনিকার সাথে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় বেদেনা বেওয়া নিজের মত করে চলতেন। গত শুক্রবার বেদেনার ছেলের বৌ কনিকা সন্ধ্যায় ইফতারের সময় সরবতে সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে কথা খাতুনের মাধ্যমে বেদেনাকে খাইয়ে দেয়। সরবত খাওয়ার পর বেদেনা বেওয়া ঘুমিয়ে পরলে কনিকা ও তার অপর এক সহযোগির মাধ্যেমে বেদেনা বেওয়া দুই হাত খাটের সাথে ওড়না দিয়ে বেধে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। পরে অপর সহযোগির মাধ্যমে বেদেনার মরদেহ বস্তাবন্দি করে বাড়ির পাশের কবরস্থানে ফেলে দেয়। শুক্রবার দুপুরের পর মরদেহের দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা কবরস্থানে গিয়ে বস্তাবন্দী মরদেহ দেখতে পান। সেসময় পুঠিয়া থানা পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুর রহমান জানান, হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। আটকৃতরা আদালতে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। অপর সহযোগিকে আটকের চেষ্টা চলতে চলে এ কর্মকর্তা জানান। #